Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পরিবেশ দূষণ রোধে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২ ডিসেম্বর ২০২২ ১৮:৪২ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:০০

ঢাকা: পরিবেশ দূষণ রোধ এবং সবুজায়ন বাড়াতে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশকে এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে দেওয়া হবে। ঋণটি পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। প্রচলিত ঋণের শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক থেকে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্পে এই ঋণ ব্যবহার করা হবে। দূষণ রোধে এবং পরিবেশগত মান উন্নত করতে পরিবেশগত বিধিবিধান এবং প্রয়োগের উন্নতিতেও প্রকল্পটি সহায়তা করবে। প্রকল্পের মূললক্ষ্য সবুজ বিনিয়োগ উন্নীত করার জন্য নতুন অর্থায়নের পথ সৃষ্টি। পাশাপাশি বায়ু দূষণ কমাতে সবুজ বিনিয়োগকে সমর্থন করার জন্য আর্থিক খাতকে উৎসাহিত করতে একটি গ্রিন ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমও প্রতিষ্ঠা করবে। প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন দূষণ মোকাবিলায় সাহায্য করবে। বৃহত্তর ঢাকা এবং তার বাইরে বসবাসকারী ২১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। বাংলাদেশের পরিবেশ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এবং সবুজ বিনিয়োগে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে এই অর্থায়ন অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।’

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও ভুটানের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যান ড্যান চেন বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। পাশাপাশি নগরায়ণের ফলে দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে। এই দূষণ শুধু আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে তা নয়, এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও নষ্ট করছে। পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অংশীদার। এই প্রকল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের পরিবেশ সংস্থাগুলিকে শক্তিশালী করবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বার্ষিক প্রায় ৪৬ হাজার যানবাহন পরিদর্শনের জন্য সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের মাধ্যমে চারটি যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করবে। বার্ষিক সাড়ে তিন মেট্রিক টন ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার জন্য একটি ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য এক মিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে সহায়তা করা।’

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং টাস্ক টিমের নেতা জিয়াং রু বলেন, ‘পত্র-পত্রিকায় আমরা নিয়মিত ঢাকার উচ্চ মাত্রার বায়ু দূষণের প্রতিবেদন দেখি। বিশ্বব্যাংক মনে করে, ২০১৯ সালে বায়ু দূষণ এবং সীসার এক্সপোজার বাংলাদেশে মৃত্যুর এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি এর জন্য দায়ী, যা দেশের জিডিপির প্রায় ১২ শতাংশ ব্যয় করে। এই প্রকল্পটি দেশকে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্য নির্গমনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।’

সারাবাংলা/জিএস/এনএস

পরিবেশ দূষণ রোধ বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর