পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ল ২০ শতাংশ
২১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:১৫ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২২ ১৭:১৮
ঢাকা: পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে এ পর্যায়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ ৫ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা হলো।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিদ্যুতের এ নতুন দাম ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন নির্ধারিত এ দাম আগামী মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিদ্যুতের পাইকারি দাম পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এরপর গত ১৮ মে ওই প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি আয়োজন করে বিইআরসি।
গণশুনানিতে পিডিবি পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়নোর প্রস্তাব দেয় এবং বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ভর্তুকি না দিলে ৫৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। আর ভর্তুকি না দিলে বাড়ানোর দরকার নেই বলে জানিয়েছিল কমিশন। ওই সময় দাম বাড়ানো না হলেও পিডিবির প্রস্তাবে রিভিউ করার সুযোগ রাখে বিইআরসি। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে প্রস্তাবে আপিল করে পিডিবি। সেই আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে কমিশন।
এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ইউনিট প্রতি ৫ টাতা ১৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। যা এখন বাড়িয়ে ৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছে।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে বিইআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন নির্ধারিত দাম পুননির্ধারনের ক্ষেত্রে ভর্তুকি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, দাম বাড়ানোর পরেও বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যায়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে সরকার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে পিডিবির খরচ ১৪ থেকে ১৫ টাকা। যেখানে বিক্রি করছে হচ্ছে ৬ টাকা ২০ পয়সা। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের বোঝা দিনকে দিন ভারি হচ্ছে।
পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির লোকসান ১১ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। পরের অর্থ বছরে সে লোকসান গিয়ে ঠেকেছে ৩১ হাজার কোটিতে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে লোকাসানের পরিমান ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ