Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইন্সপেক্টরসহ ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে কন্সটেবলের মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ নভেম্বর ২০২২ ২০:০০

ঢাকা: রাজধানীর দারুস সালাম থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) জামাল হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৩ নভেম্বর) সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাকিব চৌধুরী মামলার বিষয়টি জানান।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে গত বৃহস্পতিবার গাজীপুর পুলিশ লাইনের কন্সটেবল আ. রাজ্জাক মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার অপর দুই আসামি হলেন— একই থানার দুই সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম ও প্রসেঞ্জিত কুমার।

বাদী অভিযোগে বলা হয়, গত ১ মে দারুস সালামের ওয়াকআপ কলোনীর একটি বাসা থেকে মাদক ও নারী ব্যবসায়ী রুবেল ইসলামসহ একটি মেয়েকে আটক করে নেশা জাতীয় দ্রব্য, ৩০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বাদী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় এক ব্যক্তি তাকে বিষয়টি পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করে। আ. রাজ্জাক প্রথমে বিষয়টি পরিচিতি ডিবির এএসআই নজরুল ইসলামকে জানান। কিন্তু তিনি ঢাকায় না থাকায় ডিবির এডিসি সাইফুলকে জানাতে বলেন। তিনি বিষয়টি এডিসিকে জানান। পরে এডিসি বিষয়টি দারুস সালাম থানা পুলিশকে জানায়। এরপর এসআই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, সেখানে গিয়ে রুবেলকে দেখে গ্রেফতারর না করে বরং আ. রাজ্জাকের ওপর রাগ হন রফিকুল ইসলাম এবং গালিগালাজ করেন। পরে থানায় গিয়ে তিনি ইন্সপেক্টর জামাল হোসেনকে বিষয়টি জানান। জামাল হোসেন বাদীকে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে জামাল হোসেনও তার ওপর রাগ হয়ে গালিগালাজ করেন। রাজ্জাক গালিগালাজ না করতে অনুরোধ করলে আসামিরা বাদীর মা ও মেয়ের সামনে তাকে মারধর করেন। বাদীর মা ও মেয়ে তাকে বাঁচাতে যান। আসামি প্রসেঞ্জিত বাদীর মেয়ের বোরকা ও নেকাফ ধরে টান দিয়ে তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন।

বিজ্ঞাপন

বাদী আসামিদের জানান, তিনি ই-বিটা থেলাসিমিয়া রোগে আক্রান্ত। তাকে বেশি আঘাত করলে শারীরিকভাবে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। একথা শোনার পর আসামিরা তাকে আরও মারধর করে। একপর্যায়ে বাদী অজ্ঞান হয়ে যান। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে আবার থানায় নিয়ে আসে। পরে আবার আসামিরা বাদীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে থানায় নিয়ে ৩০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয়।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

দারুস সালাম থানা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর