যুবলীগের মহাসমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা বলয়
১১ নভেম্বর ২০২২ ১২:৩৯
ঢাকা: রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যুব মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তায় আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি বাড়তি সরঞ্জামও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। র্যাব, পুলিশ, ডিবি, সিআইডি, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, রায়ট কার, এপিসি কার, ডগ স্কোয়াডসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত সব আধুনিক সিস্টেম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ডিএমপি বলছে, এই সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় সমাবেশ এটি। সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা আসছে। প্রায় ১০ লাখ লোকের জনসমাবেশ এটি। কাজেই যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও মোতায়েন রাখা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং করছে। সিটিটিসির সদস্যরা জঙ্গি ওয়ার্ল্ড মনিটরিং করছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিটসহ সকল ইউনিট সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে অবস্থান নিয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো ধরণের অবস্থা মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে। সাদা পোশাকে পুলিশ সমাবেশ স্থল ও আশেপাশে অবস্থান করবে। টহল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো থেকে গতিবিধি মনিটরিং করা হবে। পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্দেশনা দেওয়া হবে। সমাবেশ স্থল ঘিরে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি মনিটরিং করা হচ্ছে। ডিএমপির সদস্য ছাড়াও ঢাকা জেলা পুলিশ ও গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সদস্যরাও নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘কোনো থ্রেট নেই, জঙ্গি হামলারও কোনো তথ্য নেই। তবে কেউ নাশকতা চালাতে চাইলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। সেই সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশের। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং ডিএমপির যে নিজস্ব উইং তথ্য দিয়েছে তাতে কোনো সমস্যা নেই।’
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, র্যাবের গোয়েন্দা দলসহ ঢাকার চারটি ব্যাটালিয়ন এবং আশেপাশের র্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছে। র্যাবের ডগ স্কোয়াড দল, বোম ডিসপোজাল ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি র্যাবের হেলিকপ্টার উইংও কাজ করতে সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তার স্বার্থে রোড ব্লক ও ডাইভারশন পয়েন্ট রাখা হয়েছে। সেগুলো হলো- কাঁটাবন ক্রসিং, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, পুলিশ ভবন ক্রসিং, কাকরাইল চার্চ ক্রসিং, ইউবিএল ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাস্কর্য ক্রসিং ও উপাচার্য ভবন ক্রসিং।
অনুষ্ঠানে আগত গাড়ি পার্কিংয়ের স্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হল মাঠ (ভিআইপি), মলচত্বর, পলাশী ক্রসিং থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ, ফুলার রোডের রাস্তার দুই পাশ, দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ, পলাশী ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশ, সবজি বাগান থেকে নেভাল গ্যাপ, সুগন্ধা থেকে অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল গলি, নেভাল গেট এলাকা, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের বিপরীত পাশ, মিন্টো রোড ক্রসিং থেকে পুলিশ ভবন ক্রসিং ও দিলকুশা এবং মতিঝিল এলাকার রাস্তার দুই পাশ।
এদিকে যুব মহাসমাবেশ উপলক্ষে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর আয়োজন ঘিরে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মহাসমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।
সারাবাংলা/ইউজে/এমও