‘পরিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে ছাদকৃষি’
১০ নভেম্বর ২০২২ ২৩:২৫
ঢাকা: ছাদকৃষি করলে খাদ্যের চাহিদা পূরণ হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। এটি পরিবেশগত উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশান নগর ভবনে ‘নিরাপদ ছাদকৃষি’ বিষয়ে দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাদকৃষি চমৎকার উদ্যোগ হলেও এটি চ্যলেঞ্জের। তবে নিয়ম মেনে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারলেই ছাদকৃষি নিরাপদ হবে। আমি এটি সমর্থন করি। ছাদকৃষিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি উন্নয়নের সঙ্গে কিছু বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। উন্নয়নকে টেকসই করতে হলে সেই প্রতিক্রিয়াগুলো সঠিকভাবে দক্ষতার সাথে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। আমাদের দেশে এক সময় যানজট ছিল না। কারণ তখন দেশে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম ছিল। দেশের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে যানজটও বেড়েছে। সঠিক ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এটি ব্যবস্থাপনা করতে হবে। তেমনি ছাদবাগান ও ছাদকৃষির সাথে যুক্ত চ্যালেঞ্জগুলো সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।’
কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সঠিক নিয়মে ছাদকৃষি করলে পুরস্কারের ঘোষণা দেন। মেয়র এ সময় বলেন, ‘ছাদবাগান ও ছাদকৃষিই হতে পারে নিরাপদ খাদ্যের উৎস। ছাদকৃষির ক্ষেত্রে অবশ্যই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সঠিক নিয়মে, নিরাপদে ছাদকৃষি করতে হবে।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমরা ঢাকা শহরকে অক্সিজেনের হাব করতে চাই। ছাদবাগানের মাধ্যমে অক্সিজেনের সংস্থান হবে যা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। ঢাকা শহরের গাছপালা কেটে শুধু ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। সিটি ফরেস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। এভাবে ঢাকার পরিবেশ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আমাদের শহরে যেহেতু জায়গার অভাব তাই ছাদকৃষিতে মনযোগ দিতে হবে। তবে নিরাপদ ছাদবাগান করতে হবে। ছাদবাগানে যেন এডিস মশার জন্ম না হয় সেটি খেয়াল রাখতে হবে।’
পরে শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সারাবাংলা/আরএফ/পিটিএম