‘নতুন কারিকুলামে মুখস্থ নয়, পড়ে পড়ে শিখতে হবে’
৬ নভেম্বর ২০২২ ২২:১৭ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২২ ০৯:৪৫
ঢাকা: শিক্ষা ব্যবস্থায় গুণগত মান অর্জনের জন্য ঢেলে সাজাতে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, নতুন কারিকুলামে মুখস্থ নয়, পড়ে পড়ে শিখতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা আত্মস্থ করতে পারে।
রোববার (৬ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এদিন সংসদে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা এনটিকিউএফ (ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশনস অ্যান্ড ভোকেশনাল ফ্রেম ওয়ার্ক) সম্পন্ন করেছি। এই ফ্রেম ওয়ার্ক অনুযায়ী যে যে স্তরে পাস করে বের হবে বিদেশে গিয়ে সে যেন সেই স্তরেই কাজ পায়- সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। একইভাবে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা ‘ন্যাশনাল কোয়ালিফিকেশন ফর ফ্রেম ওয়ার্ক’ অনুযায়ী শিক্ষার মান বজার রাখার চেষ্টা করেছি। এ ফ্রেম ওয়ার্কের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে তার চেষ্টা করছি।’
এ সময় তিনি ইউজিসির সক্ষমতা বাড়ানো এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংস্কারে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমরা কারিগরি শিক্ষার সঙ্গে সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। যাতে বিদেশে গিয়ে তারা সফলতার সঙ্গে চাকরি করতে পারে। আমরা বিএ, বিএসসির মতো কোর্সের সঙ্গে স্বল্পমেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স চালু করছি। এছাড়া স্বল্প মেয়াদী শট কোর্স চালু করছি। যাতে যখন যার যে শিক্ষা দরকার সে তা করে নিতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জীবন গঠনের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। আমরা প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে মাধ্যমিকের শেষ পর্যন্ত যে শিক্ষা কার্যক্রম করেছি সেখানে জীবনমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষা উদ্ভাবন করেছি। একইভাবে উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা এই সফট স্কিলগুলো শেখানোর চেষ্টা করছি। শিল্পের ক্ষেত্রে কী প্রয়োজন তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা কারিকুলাম নির্ধারণ করি, যেন শিক্ষার্থীরা তাদের স্কিল পুরোপুরি প্রয়োগ করতে পারে।’
দীপু মনি বলেন, ‘যেখানে ২০০৯ সালে আমাদের কারিগরি শিক্ষার হার ছিল ১ শতাংশ, বর্তমানে তা এসে দাড়িয়েছে ১৭ শতাংশ। আমরা আমাদের কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটাচ্ছি। শুধুমাত্র কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নয়, সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুটো করে ট্রেড চালু করতে যাচ্ছি।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম