জাপার কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা বাতিল চেয়ে জিএম কাদেরের আবেদন
৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:১৭
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর পার্টির সব কার্যক্রমে অদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
রোববার (৬ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও আইনজীবী শেখ মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এবং কলিমুল্লাহ মজুমদারের মাধ্যমে তিনি এ আবেদন করেন।
এদিন ভারপ্রাপ্ত বিচারক কাজী মুশফিক মাহবুব রবিন আবেদনের ওপর আংশিক শুনানি শেষ করেন। পরে আগামী ১৩ নভেম্বর অধিকতর শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ জারি করেন।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আলোকে আদালত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আরও পড়ুন: জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
আদালত আদেশে জিএম কাদেরকে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করতে না পারে এবং কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো বলে উল্লেখ করেন।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছল ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।
এছাড়া, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন। যা অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কাদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে চাওয়া হয়। পাশাপাশি হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/পিটিএম