‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্বৈরশাসন চালাবে কি না পরিষ্কার করতে হবে’
৬ নভেম্বর ২০২২ ১৪:০৯
ঢাকা: আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে দূরে থাকলে মুখে বলে এক কথা আর ক্ষমতায় গিয়ে বাকশালী আচারণ শুরু করে বলে মন্তব্য করেছেন নেতারা। বিএনপি এখন সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য মাঠে রয়েছে। তারা ক্ষমতায় গেলে আগের মতো স্বৈরতান্ত্রিক মডেল চালু করবে কি না— এটি পরিষ্কার হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তারা।
রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভার বক্তরা এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম মামুন ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমসহ আরও অনেকে।
আলোচনার মূল প্রবন্ধে বলা হয়, দেশের সংকট উত্তরণে সবার আগে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। সেজন্য সকল বিরোধী শক্তির ব্যাপক ঐক্য প্রয়োজন। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সকল বিরোধী শক্তির একই মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে যুগপৎ কর্মসূচির ভিত্তিতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। এই আন্দোলনে প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে দলীয় কিংবা জোটগতভাবে অংশ নিতে হবে। বিভিন্ন দল বা জোটের মধ্যে মতাদর্শিক ভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু সেই মতভেদ ভুলে ন্যূনতম ঐক্যমতের ভিত্তিতে, স্বৈরাচার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার প্রশ্নে এক দফা দাবি নিয়ে এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে।
এ সময় সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদলগুলোকে মোকাবিলা করার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তাদের ঐতিহ্য হারিয়ে এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এই সরকারকে পদত্যাগতে বাধ্য করতে সকল বিরোধীদলকে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যুগপৎ আন্দোলন শুরু করতে হবে।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে বলে গণতন্ত্রের কথা, আর ক্ষমতায় গিয়ে করে বাকশালী আচরণ। তবে তারা এখন নতুন মডেল তৈরি করেছে। কিছু রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়েছে। আসন ভাগাভাগি করে ক্ষমতায় টিকে থেকে দেশ শাসন করবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপি আন্দোলন করছে। আন্দোলনও জমে উঠেছে। তারাও ক্ষমতায় গেলে স্বৈরশাসন শুরু করবে। কারণ তারা অতীতে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিচারপতিদের বয়স বাড়িয়েছিল। কারণ বিচারপতিরা তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হবেন। তাই আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে নতুন মডেলে বিএনপি স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করবে কি না— তা পরিষ্কার করতে হবে। না হয় সামনে দেশে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবার আশঙ্কা রয়েছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস