সনদ জালিয়াতির দায়ে ৯ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
৪ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫০ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২২ ১০:৫২
বান্দরবান: সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ জালিয়াতির দায়ে ৯ জনের নিয়োগ বাতিল করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
সনদ জালিয়াতরা হলো- বান্দরবান সদরের আর্মি পাড়ার মো. নাছির আলমের স্ত্রী আইরিন আক্তার মিতু, সুয়ালকের নুরুজ্জামানের ছেলে মো. তারেকুজ্জামান, লামার মনজুরুল আলমের ছেলে নাহিদ সুলতান, লামার জামাল উদ্দিনের ছেলে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, লামার মো. লাল মিয়ার ছেলে মো. রহিম উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ির মৃত আব্দুল জব্বারের মেয়ে রহিমা বেগম, নাইক্ষ্যংছড়ির মগান মারমার ছেলে ছায়ামং মারমা, উজ্জ্বল কুমার দাশের স্ত্রী অগ্নি দাশ ও রুমার মো. মনিরুজ্জামান মোল্লার ছেলে নাঈম মাহামুদ শাওন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত বাছাইকৃত ৯ জন প্রার্থীর স্থায়ী বাসিন্দা সনদ জালিয়াতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করা হলো। এ ধরণের অসদাচরণ অবলম্বনের জন্য এ জেলার পরবর্তী সব প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে তাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এই ৯ জন প্রার্থী জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ মাস আগে পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৭৬ জন প্রার্থী চূড়ান্ত পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়। এদের মধ্যে ৯ জনের বান্দরবানের বোমাং রাজার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ আসায় তাদের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়। পরে নিয়োগ কমিটি অধিকতর যাচাইবাছাই করে জালিয়াতির প্রমাণ পায়। ফলে ওই ৯ জনের প্রার্থিতা বাতিলের সুপারিশ করে নিয়োগ কমিটি।
সারাবাংলা/এমও