Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকার দেশের অর্থনীতিকে চিবিয়ে খেয়েছে: মির্জা ফখরুল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০০ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২ ০৮:১০

রংপুর: নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় সরকারের বিদায় নিশ্চিত করেই নির্বাচনে যাবেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই। সেই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা জনগণের সরকার কায়েম করব।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি কোনও নির্বাচনে যাবে না। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে কোনও নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

এ সময় সরকার দেশের অর্থনীতিকে চিবিয়ে খেয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়েছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বলেছিল ঘরে ঘরে নাকি চাকরি দেবে কিন্তু সেটা পায় শুধু সরকার দলীয়রা।’

এর আগে দুপুর ২টায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিসহ নানা দাবিতে রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশস্থলে দলটির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে। গত তিনদিন থেকে আসা নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে মাঠের অর্ধেকাংশ ভর্তি হয়ে যায়। অনেকে আবার সমাবেশস্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন।

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহ ও খুলনার মতো রংপুরেও গণসমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়। সভামঞ্চের ঠিক মাঝখানে রাখা সাদা কাপড়ে আবৃত চেয়ারে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ লেখা একটি পোস্টার লাগানো হয়।

শনিবার ভোর থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসেন। স্লোগান দিতে দিতে সমাবেশে যোগ দেন তারা। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সমাবেশস্থল।

দুপুর ২টায় গণসমাবেশ শুরু হলেও নির্ধারিত সময়ের দুই ঘণ্টা আগেই বেলা সাড়ে ১১টায় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শামসুজ্জামান শামু।

এই গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান টুকুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

এ ছাড়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব (দুলু), সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা।

এদিকে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের দুইদিন আগেই মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধসহ কয়েকটি দাবিতে রংপুর জেলা বাস মালিক সমিতি পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সড়কপথে সারা দেশের সঙ্গে শুক্রবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিভাগীয় শহর রংপুর। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রংপুরসহ আশপাশের জেলার সাধারণ মানুষ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইআ

গণসমাবেশ টপ নিউজ নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর