সন্তানকে হত্যার পর থানায় মায়ের আত্মসমর্পণ
২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৭:৩৫ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৭
জয়পুরহাট: নিজের সাড়ে চার বছরের কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন মা মৌমিতা পাল(৩০)। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়পুরহাট পৌর শহরের বারিধারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু হিয়া পাল পাঁচবিবি সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র ক্যাশ কর্মকর্তা নয়ন পালের মেয়ে। নয়ন কুমার পরিবারসহ গত পাঁচ বছর ধরে বারিধারা এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার আমরা গুহাইল গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শশুরবাড়ির সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক কলহে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মৌমিতা পাল। বৃহস্পতিবার সকালে অসুস্থ স্ত্রী ও মেয়েকে বাসায় রেখে নয়ন পাল তার কর্মস্থলে যান। সকাল ৯টার দিকে মৌমিতা তার মেয়ের গলায় মোবাইল ফোনের চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ওই সময় ঝর্ণা রাণী নামের আরেক ভাড়াটিয়া তার সন্তানের খোঁজ নিতে গেলে মৌমিতা ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর জোরপূর্বক ঝর্ণা রাণী ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান হিয়ার নিথর দেহ বিছানায় পড়ে আছে। এ সময় মৌমিতা সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
নয়ন কুমার পাল জানান, তার স্ত্রী মৌমিতা মানসিক বিকারগ্রস্ত। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মা মৌমিতা পাল মোবাইলের চার্জ দেওয়ার তার দিয়ে নিজের সন্তান হিয়া পালকে স্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে তার মা থানায় আত্মসমর্পণ করেন। নিহত শিশুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা নয়ন কুমার পাল স্ত্রী মৌমিতা পালকে আসামি করে মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি।
সারাবাংলা/ইআ