Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ক্রসফায়ারে’ হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৭ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৪৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে বেসরকারি হাসপাতালের এক কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ‘ক্রসফায়ারে হত্যার’ চেষ্টার অভিযোগে চার পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে একটি নালিশী মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নগরের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সহকারী ওয়ার্ড মাস্টার কামরুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নগরীর বন্দর থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিউদ্দিন মাহমুদ, ওই থানা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপ পরিদর্শক (এসআই) কে এম জান্নাত সজল ও মঙ্গল বিকাশ চাকমা, বন্দর থানার সাবেক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং বন্দর এলাকার বাসিন্দা জামাল ফরাজী ও মিলন ফরাজী।

এদের মধ্যে মহিউদ্দিন মাহমুদ বর্তমানে সিএমপির বিশেষ শাখায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন। এএসআই রবিউল সিএমপির আকবর শাহ থানায় এবং এসআই মঙ্গল বিকাশ ও কে এম জান্নাত সজল সিলেট জেলায় কর্মরত আছেন।

মামলার আরজিতে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর কামরুলকে নগরীর আগ্রাবাদে কর্মস্থল থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে পুলিশের গাড়িতে করে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়, অন্যথায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। এ সময় ক্রসফায়ারে হত্যার উদ্দেশে তার মাথায় রিভলবার ঠেকানো হয় বলে বাদীর অভিযোগ।

এতে আরও উল্লেখ আছে, রাতভর ঘোরানোর পর তাকে বন্দর থানায় দায়ের হওয়া একটি চুরির মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় চারদিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। এরপর বন্দর থানা থেকেই আবার ওই মামলায় তাকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু মামলার বাদী নারাজি দিলে আদালত নগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। গোয়েন্দা বিভাগও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত তাকে অব্যাহতি দেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর ডবলমুরিং থানার একটি ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা হয়। এ সময় তিনি মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ এনে সিএমপি কমিশনারের কাছে একটি চিঠি দেন। সিএমপি কমিশনার নিজে তদারকির দায়িত্ব নিয়ে মামলা ছায়া তদন্তের জন্য আরেক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন। ওই কর্মকর্তা তদন্ত করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সত্যতা পান। এরপর সিএমপি কমিশনার ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সিএমপি থেকে সিলেটে বদলি করেন। ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায়ও কামরুলকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত সেটি গ্রহণ করেন।

বাদীর অভিযোগ, তিনি বন্দর এলাকায় একটি মাল্টিপারপাস কোম্পানিতে টাকা জমা রাখেন। সেখান থেকে আট লাখ টাকা ফেরত চাইলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়।

বাদীর আইনজীবী জুয়েল দাশ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩৬৪ ও ৩০৭ ধারায় নালিশী মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত সব ধারা বিবেচনায় নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

টপ নিউজ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর