পদ্মা সেতু ষড়যন্ত্র: ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন জমার নির্দেশ
১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২৯
ঢাকা: পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে গঠিত কমিটিকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, আইন, বিচার সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুন নূর দুলাল।
এর আগে গত ২৮ জুন পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলী। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে আইনজীবী আব্দুন নুর দুলাল শুনানি করেন।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পদ্মা সেতু নির্মাণ চুক্তি এবং দুর্নীতির মিথ্যা গল্প সৃষ্টির নেপথ্যে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘ইউনূসের বিচার দাবি: আওয়ামী লীগ ও সমমনা দলগুলো একাট্টা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এরপর প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ নজরে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছিলেন।
রুলে প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ‘ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ (৩ ধারা)’ অনুসারে কমিশন গঠন এবং দোষীদের কেন বিচারের আওতায় আনতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
চার সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র, আইন ও যোগাযোগ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান এবং আইজিপিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পাশাপাশি এ কমিটি বা কমিশন গঠনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ