দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে ১৭৬
১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৪০ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১৯:০৬
ঢাকা: দেশে সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) সংখ্যা আরও বেড়েছে। নতুন করে এই তালিকায় আরও তিনটি কারখানা যুক্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশে এখন সবুজ কারখানা ১৭৬টি। এ ছাড়া গ্রিন ফ্যাক্টরির তকমা পেতে প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৫৫০টির বেশি কারখানা।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (এলইইডি) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্য মতে, বাংলাদেশে এখন গ্রিন ফ্যাক্টরি ১৭৬টি। এর মধ্যে প্লাটিনাম ক্যাটাগরির ৫৭টি, গোল্ড ১০৫টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফাইড চারটি। এ ছাড়া ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি থেকে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।
নতুন করে গ্রিন ফ্যাক্টরির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে গাজীপুরের সি এ নিটওয়্যার লিমিটেড, সিলকেন সুয়িং লিমিটেড ও ময়মনসিংহের সুলতানা সুয়েটারস লিমিটেড।
এর আগে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে সবুজ কারখানার সার্টিফিকেট পায় গাজীপুরের আমান টেক্স লিমিটেড ও ঢাকার আয়েশা ফ্যাশন লিমিটেড। গত সেপ্টেম্বরে এই তালিকায় যুক্ত হয় নরসিংদীর শারাফ অ্যাপারেলস ওয়াশিং অ্যান্ড ডায়িং, আশুলিয়ার দেবনাইর লিমিটেড অ্যান্ড অরবিটেক্স নিটওয়্যার লিমিটেড ও নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ অ্যাপারেলস।
বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সারাবাংলাকে বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ এখনও সবুজ কারখানার দিকে এগিয়ে চলছে। প্রতিনিয়তই নতুন নতুন কারখানা সবুজ কারখানার তালিকায় অন্তভূর্ক্ত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করছে। ক্রেতারা বাংলাদেশে ক্রয়াদেশ দিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
গেল সেস্টেম্বরে সবুজ কারখানার সার্টিফিকেট পেয়েছে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লাহ অ্যাপারেলস। কারখানাটির মালিক বিকেএমএই’র সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, সবুজ কারখানার ফলে দেশের ইমেজ ভালো হচ্ছে। পরিবেশের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, সবুজ কারখানার কারণে সেই ক্ষতি কমছে। তবে সবুজ কারখানা করতে খরচ বেশি হচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা যে বিনিয়োগ করছে ক্রেতাদের কাছ থেকে সেই বিনিয়োগের সঠিক মূল্য বা পণ্যের দাম অতিরিক্ত পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতাদের এ বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিৎ।
উল্লেখ্য, সবুজ কারখানার তালিকায় বাংলাদেশের পরের অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ