ঢাবির মুহসীন হলের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
১৫ অক্টোবর ২০২২ ১২:০৭ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২২ ১২:০৮
ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে বৈধ শিক্ষার্থীকে মারধর করে কক্ষ দখল এবং সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। গঠিত কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে তদন্ত কমিটির প্রধান ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কমিটির অন্য দু’জন শিক্ষক হলেন— আবাসিক শিক্ষক ইমাউল হক সরকার টিটু ও ফ্লোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী আবাসিক শিক্ষক হারুনুর রশিদ।
আইনুল ইসলাম বলেন, ‘হলের প্রাধ্যক্ষ তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটিকে দশ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সাংবাদিক হেনস্থার বিষয়টিও তদন্ত করা হবে।’
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরও দুইজন হাউজ টিউটর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। আমি অভিযোগটি পেয়েছি এবং প্রক্টরকে অবহিত করেছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে হল প্রভোস্টের সঙ্গে আমার একাধিকবার কথা হয়েছে। আমাদের একজন সহকারী প্রক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হল প্রশাসন এ বিষয়ে সহযোগিতা চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রক্টর অফিস সহায়তা দেবে।
‘সিট কি প্রশাসন দেয়? হলে কিভাবে উঠতে হয় তা জানস না?’
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইফুল ইসলাম নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে হেনস্তা এবং বৈধ রুম থেকে পিটিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে সংশ্লিষ্ট হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা প্রায় ৪ ঘণ্টা রুম দখল করে রাখার পর হল প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রুমটি সিলগালা করা হয়। এই ঘটনায় একজন সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগও উঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের তাওহীদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শরিফুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৮-১৯ সেশনের শাখাওয়াত ওভি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শেখ ইমরান ইসলাম ইমন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৯-২০ সেশনের মুনতাসীর হোসেনসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে হল প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
সারাবাংলা/আরআইআর/এমও