সেপ্টেম্বরে কমেছে মূল্যস্ফীতি
১১ অক্টোবর ২০২২ ১৪:৩০ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৯:৩০
ঢাকা: গত সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর খাদ্যে পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। একইভাবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক ব্রিফিং শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
এ বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরমধ্যে নীতিমালাগত সহায়তার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজার তদারকি এবং পণ্য চলাচলা বাধাহীন করা হচ্ছে। তবে এখন গুদামে অভিযানের বাইরে নীতিমালা দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ফলে মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু মূল্যস্ফীতি নয়, একইসঙ্গে শ্রমিকদের মজুরি হারও বেড়েছে। গত আগস্টে মজুরি হার ছিল ৬ দশমিক ৮০, সেপ্টেম্বরে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশে। এ সময় কৃষি, শিল্প ও সেবা সবক্ষেত্রেই মজুরি হার বেড়েছে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম জানান, বিশ্বে অন্যান্য বড় বড় অর্থনীতির দেশও মূল্যস্ফীতির শিকার। যেমন আমেরিকার মতো দেশেও ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালে ১৩ শতাংশ হতে পারে বলেও আগাম ধারণা দেওয়া হয়েছে ওই দেশে। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪২ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। খাদ্য বহিভূর্ত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
সারাবাংলা/জেজে/এনএস