ছাত্র অধিকার পরিষদের ২০ নেতাকর্মী আটক
৭ অক্টোবর ২০২২ ২৩:১৯
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় হামলার ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি হারুনর রশীদ জানান, আমরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বিকেলে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত সভায় হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে ছাত্রলীগ হামলার দায় অস্বীকার করেছে।
হামলায় আহত ১৫ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে হাসপাতালেই ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে কয়েকজনকে আটক করে থানায় নেয়।
আটক হওয়াদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির তারিকুল ইসলাম, নাজমুল হাসান, সানাউল্লাহ, মামুনুর রশীদ, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আখতার, সেক্রেটারি আকরাম, ইউসুফ রাকিব, আবু কাওসারের নাম উল্লেখ করেন বিন ইয়ামিন মোল্লা।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে হামলার এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন বলে জানান আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন।
আহতরা হলেন- হাসিব, আকরাম, জাহিদ, হাসান, মামুন, কাউসার, শাকিল, মিজান, রাকিব, রাসেল, তরিকুল, ইউসুফ, বিন ইয়ামিন। এ ঘটনায় মো. কবির হোসেন নামের এক রিকশাচালকও আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খানের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী হামলায় অংশ নেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে তারা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান। তিনি বলেন, ‘যারা এখানে এসেছে তারা সবাই বহিরাগত। ঢাবি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চায় না। আমরা হামলা করিনি। আয়োজকরা ঢাবি শিক্ষার্থী কিনা জানতে চাইলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
সারাবাংলা/ইউজে/একে