Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শান্তিতে নোবেল পেলেন অ্যালেস বিয়ালৎস্কি ও ২টি সংগঠন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৭ অক্টোবর ২০২২ ১৫:১০ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২২ ১৯:১৩

ঢাকা: এ বছর যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী অ্যালেস বিয়ালৎস্কি। এছাড়া আরও দু’টি মানবাধিকার সংগঠন নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এগুলো হলো— রাশিয়ার মানবাধিকার সংস্থা মেমোরিয়াল, ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস-অ্যান্ডারসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিতদের নাম প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে নোবেলজয়ীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, “তারা যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য নথিভুক্ত করতে অসামান্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। একসঙ্গে তারা শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক সমাজের তাৎপর্য তুলে ধরেছে।”

নোবেল কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, আশির দশকের মাঝামাঝি বেলারুশের গণতন্ত্র আন্দোলনের সূচনাকারীদের একজন ছিলেন অ্যালেস বিয়ালৎস্কি। তিনি গণতন্ত্র প্রচার এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নে তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।

আরও পড়ুন

তিনি ১৯৯৬ সালে বিতর্কিত সাংবিধানিক সংশোধনীর প্রতিবাদে ভিয়াসনা (স্প্রিং) নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সংশোধনী বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে স্বৈরাচারী ক্ষমতার অধিকারী করেছিল। সাংবিধানিক সংশোধনীর বিরুদ্ধে সেসময় ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। অ্যালেস বিয়ালৎস্কির সংগঠন ভিয়াসনা সেসময় জেলে আটক বিক্ষোভকারী এবং তাদের পরিবারকে নানাভাবে সহায়তা দেয়। পরবর্তীতে ভিয়াসনা একটি মানবাধিকার সংস্থায় রূপ নেয় যা রাজনৈতিক বন্দীদের উপর সরকারের নির্যাতনের তথ্য নথিভুক্ত এবং প্রতিবাদ করে আসছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারি কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে অ্যালেস বিয়ালৎস্কি ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জেল খেটেছেন। ২০২০ সালে বড় আকারের একটি সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর তিনি আবার আটক হন। এখনও তিনি বিনা বিচারে জেলে বন্দী।

রুশ মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের মানবাধিকার কর্মীরা কমিউনিস্ট শাসনের নিপীড়নের শিকারদের স্মৃতি স্মরণীয় রাখতে এ সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী আন্দ্রেই সাখারভ এবং মানবাধিকার আইনজীবী স্বেতলানা গানুশকিনা এ মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম।

সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর মেমোরিয়াল রাশিয়ার বৃহত্তম মানবাধিকার সংগঠনে পরিণত হয়। স্ট্যালিনিস্ট যুগে নিপীড়নের শিকারদের নথিপত্র সংগ্রহের জন্য একটি কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি রাশিয়ায় রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তথ্য সংকলন করে মেমোরিয়াল। সংগঠনটি রুশ রাজনৈতিক বন্দীদের তথ্যের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

নোবেলজয়ী অপর প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনের সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি ইউক্রেনীয় নাগরিক সমাজকে শক্তিশালী করা এবং দেশটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্রে পরিণত করার জন্য সরকারি কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়ার নীতি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

সারাবাংলা/আইই

অ্যালেস বিয়ালৎস্কি মেমোরিয়াল শান্তিতে নোবেল

বিজ্ঞাপন

টানা সাতে জয়ে দুর্বার মোহামেডান
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর