Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে ৬.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস বিশ্বব্যাংকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪০ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩০

ঢাকা: চলতি অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। করোনা মহামারির পর শ্রীলংকার অর্থনৈতক সংকট, পাকিস্তানের ভয়াবহ বন্যা ও বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক অর্থনীতি জটিলতায় পড়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যদি এই পরিমাণ প্রবৃদ্ধিও অর্জন করে সেটি প্রশংসার দাবি রাখবে।

বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণ এশিয়ার সর্বশেষ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানিয়ে বিশ্বব্যাংকের পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বছরের দুই বার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে থাকে। এবারের পর্যালোচনায় আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ধারায় চলছে। এ প্রবৃদ্ধির স্থিতিস্থাপকতা আরও বাড়াতে হবে।

‘কোপিং উইথ শকস: মাইগ্রেশন অ্যান্ড দ্য রোড টু রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক এক পর্যালোচনায় বিশ্বব্যাংক বলেছে এ বছর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি জুনে করা পূর্বাভাসের চেয়ে এক শতাংশ কমে ৫ দশমিক ৮ শতাংশে নামতে পারে। করোনার পর অধিকাংশ দেশ অর্থনীতির সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২১ সালে এ অঞ্চলের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছিলো ৭ দশমিক ৮ শতাংশে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ২ শতাংশে। এ অঞ্চলে সবচেয়ে খারাপ জিডিপি হতে পাওে শ্রীলঙ্কার। ঋণাত্মক ৯ দশমিক ২ শতাংশে আছে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন। ২০২৩ অর্থবছরে তা একটু ভালো হয়ে ঋণাত্মক ৪ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।

শুধুমাত্র আফগানিস্তান ছাড়া সব দেশেরই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ থেকে নেমে ২ শতাংশে দাাঁড়াতে পারে। একই সময়ে ভুটান ৪ দশমিক ১ ও নেপাল ৫ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। তবে দক্ষিণ এশিয়া ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত আছে ভারতের। চলতি অর্থবছরে দেশটির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে আছে। এটি আগামী অর্থবছরে ৭ শতাংশে যেতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেন, ‘করোনা মহামারি, বিশ্বব্যাপী তারল্য সংকট ও দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দক্ষিণ এশিয়া বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কিন্তু এই তিন কারণকেও শক্তভাবে মোকাবেলা করে গত দুই বছর সফল হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো। এখন দেশগুলোর জন্যও নতুন পরীক্ষা অব্যাহত।’

সারাবাংলা/জেজে/এনকে

প্রবৃদ্ধির আভাস বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর