প্রেসক্লাবে তোয়াব খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
৩ অক্টোবর ২০২২ ১৪:২৫
ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবে বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে বৃষ্টিস্নাত দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকেও চির বিদায় নিলেন তিনি।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকাল ১০টায় তেজগাঁওয়ের দৈনিক বাংলা কার্যালয়ে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ নিয়ে আসা হয়।
প্রেস ক্লাবে প্রাঙ্গণে জানাজা নামাজের আগে তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির খান বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ হচ্ছে, যদি উনি কখন আপনাদের সঙ্গে ভুল ব্যবহার বা অন্য কোনো কিছু করে থাকে তবে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। একই সঙ্গে তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য দোয়া রাখবেন।’
তোয়ব খানের শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আজকে আমরা শোকে ভারাক্রান্ত। আমাদের সঙ্গে হয়তো প্রকৃতিও আজ কাঁদছে। আমাদের আজীবন সদস্য তোয়াব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি সবার কাছে বলবো, আপনারা সবাই তার প্রতি দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। উনার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা আজকে শূন্যস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। ভাইয়ের চলে যাওয়া মানে সাংবাদিকতার একটি ইতিহাসের অধ্যায় শেষ হওয়া।’
তোয়াব খানের জানাজা নামাজ শেষে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তোয়াব খান বাংলাদেশের ইতিহাসের একজন কিংবদন্তি সাংবাদিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার অসামান্য অবদান ছিল। স্বাধীন বাংলায় কাজ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা রেখেছেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তোয়াব খানের হাত ধরে বাংলাদেশের বহু প্রথিতযশা সাংবাদিকের জন্ম হয়েছে। তার লেখনী আমাদের দেশ ও জাতিকে উপকৃত করেছে। তার মৃত্যু আমাদের সাংবাদিকতা জগতের জন্য শুধু নয়, পুরো জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
জানাজা নামাজ শেষে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাব-এডিটর কাউন্সিল, দৈনিক প্রথম আলো, কালেরকণ্ঠ, জনকণ্ঠ, সাংবাদিক কল্যান ট্রাস্ট, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রে, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ফোরামসহ অন্যান্য সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা।
প্রেস ক্লাবে জানাজা শেষে তোয়াব খানের মরদেহ গুলশানের আজাদ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজার নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/ইআ