বুরকিনা ফসোতে আবারও সেনা অভ্যুত্থান, দামিবাকে ক্ষমতাচ্যুত
১ অক্টোবর ২০২২ ০৮:৪০ | আপডেট: ১ অক্টোবর ২০২২ ১২:৪৩
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফসো’র সামরিক সরকারের প্রধান পল-হেনরি দামিবাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সরকার ভেঙে দিয়ে দেশটির সংবিধান ও অন্তর্বতীকালীন শাসন ব্যবস্থাও স্থগিত করেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর। খবর আলজাজিরা।
গতকাল (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর। তিনি বলেন, ‘দেশে ক্রমবর্ধমান সশস্ত্র বিদ্রোহ মোকাবেলায় অক্ষমতার কারণে একদল সেনা কর্মকর্তা দামিবাকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়।’
এ সময় দেশের সীমান্তগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং সমস্ত রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের কার্যক্রম স্থগিত করেন ট্রাওর। এছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে দেশটিতে।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে আট মাসের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনা। এর আগে, গত জানুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রচ কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিলেন দামিবা। একই কারণ দেখি কাবোরকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন তিনি।
বেশকিছু বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লড়াই করে চলেছে বুরকিনা ফাসো। যারা অনেকে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল’র (আইএসআইএস) সঙ্গে জড়িত।
সেনেগানের রাজধানী ডাকার থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি নিকোলাস হক বলেন, বুরকিনা ফাসোর ৪০ শতাংশ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। যা নিয়ে দেশটিতে হতাশা বাড়ছে। সর্বশেষ অভ্যুত্থানের নেতারাও দেশটির সশস্ত্র দলগুলোকে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তবে এই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস)। শুক্রবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এমন অসময়ে এই অভ্যুত্থানের ঘটনা ঘটল, যখন সাংবিধানিক শৃঙ্খলা প্রত্যাবর্তনের দিকে অগ্রগতি হচ্ছিল।
এক বিবৃতিতে আঞ্চলিক সংস্থাটি আরও বলে, ‘অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল বা রক্ষণাবেক্ষণের বিরুদ্ধে তার দ্ব্যর্থহীন বিরোধিতাকে পুনরায় ঘোষণা করছে ইকোওয়াস।’
সারাবাংলা/এনএস