Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইরানে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ, দুই সপ্তাহে নিহত বেড়ে ৮৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:০৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১১

ছবি: রয়টার্স

ইরানে হিজাববিরোধী আন্দোলন চলমান রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরা চলা এই আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা ও সরকারি সূত্র থেকে জানা গেছে। খবর রয়টার্স।

সম্প্রতি দেশটির রাজধানী তেহরানে হিজাব আইনভঙ্গের অভিযোগে গ্রেফতার মাহশা আমিনি (২২) পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার ঘটনায় দেশজুড়ে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ইরানের কুর্দিশ শহর সাকেজ’র বাসিন্দা ছিলেন আমিনি। নারীদের জন্য কঠোর পোশাক আইন প্রয়োগ করে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটি।

বিজ্ঞাপন

দেশটিতে কাজ করা নরওয়ে ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা ইরান হিউম্যান রাইটস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ইরানে চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ ৮৩ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সরকার কর্তৃক ভয়ঙ্কর দমন নীতি এবং ৮৩ জন নিহত হওয়ার পরও দেশটিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে । এক টুইট ভিডিওতে দেখা গেছে, দেশেটির রাজধানী তেহরান, কোম, রাশত, সানন্দজ, মাসজেদ-ই-সুলেমান এবং অন্যান্য শহরে সরকার পতনের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।

এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বিপুল সংখ্যক ‘দাঙ্গাকারী’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়ে সেই সংখ্যা জানানো হয়নি।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, শিক্ষার্থী, শিল্পী ও মানবাধিকার কর্মীসহ প্রায় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট এক টুইটে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কমপক্ষে ২৮ জন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমিনির মৃত্যুর পর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা শত্রুদেশগুলোর সর্বশেষ পদক্ষেপ হলো এই বিক্ষোভ।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাইসি বলেন, ‘শত্রুরা ৪৩ বছর ধরে ইসলামিক ইরানকে বুঝতে ভুল করেছে। তারা কল্পনা করে ইরান একটি দুর্বল দেশ, যেখানে তারা আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে।’

২০১৯ সালে পেট্রলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে দমন করা বিক্ষোভের পর চলতি মাসে মাহশা আমিনির মৃত্যুতে দেশটিতে এত বড় বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন:

সারাবাংলা/এনএস

ইরান টপ নিউজ হিজাববিরোধী বিক্ষোভ