‘ফখরুলের কথায় হাসব নাকি কাঁদব ভেবে পাই না’
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০০ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৪৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলের ভাষায় তারেক রহমান নাকি তাদের স্ট্রাইকার এবং ফিনিশার। অথচ মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাকে বলেছেন নটোরিয়াস আর দুর্নীতিপরায়ণ। ফখরুলের এ রকম কথায় হাসব নাকি কাঁদব ভেবে পাই না।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা এবং গৃহহীনে গৃহদান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল সাহেবের একটা সাক্ষাৎকারে পড়লাম। উনি বলেছেন, তাদের ফিনিশার এবং স্ট্রাইকার নাকি তারেক রহমান। এরকম স্ট্রাইকার কি সারাবিশ্বে গ্রহণযোগ্য? বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য? তার এ কভায় হাসব কি কাঁদব ভেবে পাই না।’
তিনি বলেন, ‘এই দেশে একজন আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ছিলেন- সবার মনে আছে। রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি। তিনি বলেছিলেন, তারেক রহমান দ্য নটোরিয়াস অ্যান্ড ওয়াইডলি ফেয়ার সান অব ফর্মার প্রাইম মিনিস্টার খালেদা জিয়া। তারেক ইজ সিম্বল অব ক্যাপটোক্রাটিক গভর্নমেন্ট।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কানাডার আদালত কি বলেছেন? তাদের এক যুবনেতা রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন। কানাডার আদালত রায় দিয়েছেন, এই দলের কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারণ এটা একটা টেরোরিস্ট পার্টি। কানাডার আদালত বিএনপিকে টেরোরিস্ট পার্টি বলেছে।’
বিএনপির সমসাময়িক চলমান কর্মসূচিতে লাঠিতে জাতীয় পতাকা লাগানো ছবি মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাঠির সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে মারপিট করে তারা। গতকালের ছবি পত্রিকায় আছে। তিনি চকবাজার মসজিদের ইমাম! লাঠি হাতে জাতীয় পতাকার অবমাননা করেছেন তারা।’
বিএনপির দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, ‘এদের কি দেশপ্রেম আছে? এই দেশকে কি এরা ভালবাসে? এরা কাকে ভালোবাসে? পাকিস্তান। সেটা তো ফখরুল সাহেবই বলেছেন, পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন।’ বৈশ্বিক সংকট শুধু বাংলাদেশের একার নয়, পুরো বিশ্বে। বিএনপি এ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারাবিশ্বে জ্বালানি তেল ও বিদ্যুৎ সংকট। কিন্তু আজ বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি হতো? দেশ কি ভালো থাকতো?’
৭৫’র পরে বাংলাদেশে সবচেয়ে সৎ, যোগ্য ও সাহসী নেতার নাম শেখ হাসিনা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা নিজের ভাগ্য ও সুখের জন্য রাজনীতি করে না। শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য। এ দেশের রাজনীতিতে সততা-স্বচ্ছতার অনুপম উদাহরণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু পরিবার।’
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও সাংবাদিক অজয় দাস গুপ্ত।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম