মণ্ডপে হামলার আসামিরা ‘জামিনে’, শঙ্কিত পূজা পরিষদ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গতবছর চট্টগ্রামে দুর্গাপূজার মণ্ডপে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামিরা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় পূজার্থীরা শঙ্কিত বলে জানিয়েছে ‘চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ’।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিনে চট্টগ্রামের প্রধান পূজামণ্ডপ জে এম সেন হলে হামলা করা হয়েছিল। এরপর প্রতিবাদের মুখে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ৭৬ জনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পূজা পরিষদের পক্ষ থেকে আইনি সেল গঠন করা হয়। সেলের জোরালো তৎপরতার কারণে আসামিরা কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে একে একে জামিনে বের হয়ে আসে। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টিকারীরা জামিনে বের হয়ে আসায় আবারও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই মহলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, গতবছরের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় সাম্প্রদায়িক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সে জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। এরপরও আমরা লক্ষ্য করছি, দেশের কিছু কিছু স্থানে মৌলবাদী ধর্মান্ধ গোষ্ঠী সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে। তা ছাড়া বিভিন্ন স্থানে জবরদখল, মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুরের মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।
এবার চট্টগ্রাম নগরীতে ১৬টি থানায় ২৮৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হবে। সকল পূজামণ্ডপ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পূজার আনুষ্ঠানিকতা রাত ১২টার মধ্যে শেষ করার জন্য আয়োজকদের অনুরোধ করা হয়েছে। প্রতিমা বিসর্জন দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সব সম্প্রদায়ের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, মঠ-মন্দিরে হামলা-সহিংসতাকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ দিন সাধারণ ছুটি, নির্বাচনে ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা এবং দুর্গাপূজা চলাকালীন সরকারী-বেসরকারী সকল স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখাসহ ১৪ দফা দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাবেক সভাপতি সাধন ধর, বিমল কান্তি দে, চন্দন তালুকদার এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, সুমন দেবনাথ, শ্রীপ্রকাশ দাশ অসিত, যুগ্ম সম্পাদক মিথুন মল্লিক উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে