পৃথিবী রক্ষার মিশন: গ্রহাণুকে সফলভাবে ধাক্কা দিল নাসার যান
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১১:১৩ | আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২০
নাসার পাঠানো মহাকাশযানটি সফলভাবে একটি গ্রহাণুকে আঘাত করেছে। পৃথিবীর সম্ভব্য কোনো ধাক্কার হাত থেকে রক্ষায় বিশেষ ডিজাইনের এই যানটি তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। খবর আলজাজিরা।
গতকাল সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডিএআরটি) মহাকাশযানটি ডিমারফোস নামক গ্রহাণুকে ধাক্কা দিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কিলোমিটার অবস্থিত ছিল।
ওয়াশিংটন ডিসির বাইরের এই পরীক্ষার ভিডিও সরাসরি সম্প্রচার করেছে ইউএস স্পেস এজেন্সি। এছাড়া ডিএআরটি’র নিজস্ব ক্যামেরায় তোলা ছবিগুলোও দেখানো হয়। দু’টি সোলার প্যানেল যুক্ত রেফ্রিজারেটর-আকারের মহাকাশযানটি ডিমারফোস গ্রহাণুকে ধাক্কা দেয়। এই গ্রহাণুটি আকার একটি ফুটবল মাঠের সমান।
বিশ্বের প্রথম গ্রহ প্রতিরক্ষা পরীক্ষার বিষয়টি ভিডিও এবং চিত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এর সাফল্য জানা যাবে না। এজন্য আগামী মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীকে রক্ষায় গ্রহাণুর দিক পরিবর্তনে যান পাঠাবে নাসা
পরীক্ষার কয়েকঘণ্টা আগে এই পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক ন্যান্সি চ্যাবট আলজাজিরা’কে বলেন, ‘এটি একটি চ্যালেঞ্জিং পরীক্ষা। তাই প্রয়োজনের আগেই এই প্রযুক্তিটি বিকাশের প্রথম পদক্ষেপগুলো এখন থেকেই নিচ্ছি।’
মহাকাশযানটি গ্রহাণুকে ধাক্কা দিতে পারবে কি না— সেটা পরীক্ষা করাই হবে এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। মূলত ইউএস ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতো মহাকাশ সংস্থাগুলো সম্ভব্য যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতেই এই গবেষণা শুরু করেছে।
এ বিষয়ে টরন্টোতে অবস্থিত ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ল্যাসোন্ডে স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক এবং ডিএআরটি’র সহ-গবেষক মাইক ডালি সিবিসি নিউজকে বলেছিলেন, ‘জনপ্রিয় ধারণাগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রহাণুগুলোকে সত্যিকারের হুমকি হয়ে ওঠার আগে বিচ্যুত করা। কিন্তু এর মানে আমাদের অগ্রিম সতর্কতা থাকা দরকার যে, কেউ আমাদের পথে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাই সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটির প্রয়োগ করতে যাচ্ছে ডিএআরটি। একটি মহাকাশযানকে উচ্চ গতিতে নিয়ে যাওয়া এবং গ্রহাণুতে বিধ্বস্ত করা। এর ফলে সৃষ্ট শক্তিকে গ্রহাণুটিকে তার কক্ষপথ থেকে সরানোর কাজে ব্যবহার করা।’
সারাবাংলা/এনএস