Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রুখে দাঁড়াতে হবে, জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে: ড. কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৪৭ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:২৭

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা স্বৈরাচার তারা আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চায়। তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিতে হবে।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় তিনি একথা বলেন। বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী উপস্থাপন করেন সাংবাদিক শামীমা চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলাম রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দিদার বখত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, রয়টার্সের বাংলাদেশ প্রতিনিধি  বি এম রফিকুর রহমান, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক এ কে এম মহসিন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গণতন্ত্র যখন হুমকির মুখে ছিল তখন গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য আতাউস সামাদ সাহেব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সত্য কথা বলেছেন। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেছেন। তার আদর্শ এবং ব্যক্তিত্ব ও ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখলে সৎ সাংবাদিকতা নিয়ে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। কথা বলার অধিকার নেই। গণতন্ত্র এবং কথা বলার অধিকার আদায় করতে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। উচিত কথা বলা এবং সত্যকে বাঁচিয়ে রাখতে জনগণকে সচেতন থাকতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

প্রখ্যাত সাংবাদিক কবি সোহরাব হাসান বলেন, ‘আতাউস সামাদ ভাইকে কখনও রেগে যেতে দেখিনি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও তার চমৎকার সম্পর্ক ছিল। সাংবাদিকতাকে তিনি উচ্চপর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। বস্তুনিষ্ঠ ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তিনি একজন দিকপাল। আজ দুঃখ হয় দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নেই।’

তিনি বলেন, ‘আতাউস সামাদ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে গেছেন।’

তার লেখা বইগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আতাউস সামাদকে বিভাজন করা ঠিক নয়।’

সারা বাংলা/এএইচএইচ/ইআ

ড. কামাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর