রাশিয়ার দখলকৃত ৪ অঞ্চলে গণভোট শুরু
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৩২ | আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:৩৫
ইউক্রেনের দখলকৃত চারটি অঞ্চল রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার বিষয়ে গণভোট শুরু হয়েছে আজ। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় এই ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে, চলবে আগামী মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। ভোটের ফল পক্ষে গেলে ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের ১৫ শতাংশ নিজে ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করে নেবে রাশিয়া। তবে এই গণভোটের তীব্র নিন্দা করেছে কিয়েভ। খবর আলজাজিরা।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, অপ্রচলিত পদ্ধতিতে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে ভোটদান প্রক্রিয়া হবে। ‘সংক্ষিপ্ত সময় এবং প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের অভাবের কারণে ইলেকট্রনিক পদ্ধতির পরিবর্তে কাগজের ব্যালটে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।’
ভোট গ্রহণের প্রথম চারদিন মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে ভোট সংগ্রহ করবে কর্তৃপক্ষের লোকজন। শুধুমাত্র শেষ দিনে কেন্দ্র গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন বাসিন্দারা।
গত ২৪ ফ্রেব্রুয়ারি আক্রমণের সাত মাস পর পাল্টা আক্রমণ করে রুশ বাহিনী কর্তৃক দখল করা দেশটির উত্তর-পূর্ব খার্কিভের বেশকিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করে ইউক্রেন। এ পরিস্থিতিতে গত মঙ্গলবার রুশ সমর্থিত নেতারা হঠাৎ করে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রশ্নে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেয়। তবে ইউক্রেন ও তার মিত্র দেশগুলো এই ভোটের ফলাফলকে স্বীকৃতি দেবে না তা অনুমেয়।
এর আগে, ২০১৪ সালে রুশ বাহিনী দ্বারা ক্রিমিয়া দখলের পর অনুরূপ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। রুশ সৈন্যদের নজরদারিতে অনুষ্ঠিত ভোটে ৯৭ শতাংশ ভোট রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পক্ষে যায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই ভোটকে আজও স্বীকৃতি দেয়নি।
সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলার পর এই গণভোটের আয়োজনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ সময় হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই ভোটের মধ্যে দিয়ে এই অঞ্চলকে নিজেদের বলে দাবি করার সুযোগ তৈরি হবে এবং তা রক্ষা করার অজুহাতে হামলার করার ন্যায্যতা দেবে।
লুহানস্কের আঞ্চলিক গভর্নর সের্হি হাইদাই ইউক্রেনের এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যদি পুরো এলাকাকে রাশিয়ার অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। তাহলে মস্কো দাবি করতে পারবে যে, এটি রাশিয়ার উপর সরাসরি আক্রমণ। আর এই কথা বলে তারা কোনো বাধা ছাড়াই আক্রমণ করতে পারবে।’
এর মধ্যে এই গণভোটের নিন্দা করেছে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতরা। যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো, ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউরোপে নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থা (ওএসসিই) মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে গণভোটের ঘোষণা
হামলার জন্য রাশিয়ার শাস্তি দাবি করল ইউক্রেন
সারাবাংলা/এনএস