দক্ষিণাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল
১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:১৬ | আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৬:২১
বরিশাল: দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আর খাল ও ড্রেন দিয়ে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ছে।
কীতর্নখোলা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া, কাউয়ার চর কালিজিরা, চরমোনাই ইউনিয়নের চর হোগলা, পশুরিকাঠি, গিলাতলী এবং নগরীর রসুলপুর, পলাশপুর, আমানতগঞ্জ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা, মুলাদি উপজেলার অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বরিশাল সদরের চরমোনাই ইউনিয়নের পশুরিকাঠি গ্রামের আনিস হাওলাদার বলেন, ‘নতুন নতুন এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগরী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টমিটার, ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এছাড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টমিটার, বরগুনায় বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টমিটার ও পাথরঘাটায় ৮২ সেন্টমিটার, পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টমিটার ও উমেদপুরে কচা নদীর পানি ২২ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশাল পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদ-নদীর পানি জোয়ারের সময় স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাতাসের গতি বেশি থাকায় পানি বেশি বেড়েছে। এটি বন্যা পরিস্থিতি না।
এদিকে, মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও জমে গেছে হাঁটু সমান পানি। জলাবদ্ধতার কারণে অফিসগামী এবং বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও ছিলো তুলনামূলক কম। রাস্তার মোড়ে মোড়ে অফিসগামী ও সাধারণ মানুষদের গণপরিবহন, রিকশা ও অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এ সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নিয়েছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
সারাবাংলা/এনইউ