Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নভেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতি কমছে না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১০ | আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৯:০৫

ঢাকা: নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমতে পারে বলে আশা করছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতি যদি না বাড়ে এবং এর পাশাপাশি আমন ধান উঠলে আমাদের মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. শামসুল আলম বলেন, ‘আউশ মৌসুমে প্রত্যাশার তুলনায় তিন লাখ টন কম চাল উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া বোরো মৌসুমেও বন্যার কারণে ফলন কমেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিরূপ পরিস্থিতি। এর মধ্যে ভারত চালের শুল্ক বাড়িয়েছে। সবমিলে সাম্প্রতিক দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এটা অক্টোবর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’ তবে চালের ক্ষেত্রে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে আমদানির চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে আমাদের নীতি সুদহার বাড়াতে হবে। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসা বন্ধ করতে হবে। সরকারি চ্যানেলে আসলে রিজার্ভ বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আর্ন্তজাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আমাদের প্রস্তুতি আছে। যেমন আমরা করোনা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি আগে থেকে আমাদের জানা ছিল না। তারপরও অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবাায়নের মাধ্যমে আমরা এই সংকট মোকাবিলা করতে পারব।’

জাতিসংঘ প্রতিনিধির এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাণিজ্যসংক্রান্ত নানান সুযোগ-সুবিধা কমে আসবে। সেক্ষেত্রে আমরা স্ট্যাডি করেছি। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক অ্যাকশন প্ল্যান আছে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এফটিএ করা হচ্ছে। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি, ভারত, নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিবিআইএন বাস্তবায়ন করা হবে। তাহলে বাাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘প্রকল্প তৈরিতে বেশি সময় লাগার বিষয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি জানতে চান। এর জবাবে বলা হয়েছে যেকোনো প্রকল্প নিতে হলে যাচাই-বাছাই করেই নিতে হয়। বৈদেশিক অর্থায়ন থাকলেতো সেটি ইআরডির মাধ্যমে যাচাই করা হয়। মন্ত্রণালয়ে কিছু সময় লাগে। এরপর পরিকল্পনা কমিশনে এলে আরও কিছু যাচাই-বাছাই করা হয়। ফলে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণ করতে বছর খানেক সময়তো লাগবেই।’

জাতিসংঘের আবাসিক সম্বয়কারী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।’ সেইসঙ্গে প্রকল্প দ্রুত প্রক্রিয়াকরণে অটোমেশনের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে এলসিজি গ্রুপগুলোকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয় তার পক্ষ থেকে।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

নভেম্বর মূল্যস্ফীতি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর