Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারিভাবে কেনা হচ্ছে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল ও গম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০০ | আপডেট: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০৩

ঢাকা: সরকারিভাবে চারটি দেশ থেকে ১০ লাখ ৩০ হাজার টন চাল ও গম কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ ৩০ হাজার টন চাল, মিয়ানমার থেকে দুই লাখ টন চাল এবং ভারত থেকে এক লাখ টন চাল কেনা হচ্ছে। এছাড়াও রাশিয়া থেকে পাঁচ লাখ টন গম কেনা হবে।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বোরো সংগ্রহ অভিযান ও চলমান খাদ্যবান্ধব এবং খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল ও আটা বিক্রির কার্যক্রমসহ সামগ্রিক খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। ইতিমধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক থাকায় ৪৭ হাজার টনের মতো চাল এসেছে। শুল্ক আরও ১০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করি, কিছু চাল আরও আসবে।

চাল আমদানির ক্ষেত্রে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা চাল আনতে পারবেন তারা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।’

ওএমএস, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করার কারণে দেশের বাজারে এখন চালের দাম নিম্নমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারিভাবে ভিয়েতনাম থেকে দুই লাখ টন সিদ্ধ ও ৩০ হাজার টন আতপ মিলে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার টন চাল আনা হচ্ছে। এক লাখ টন ভারত থেকে চাল কেনা হবে। রাশিয়া থেকে ৫ লাখ টন গম আনার জন্য এই মধ্যে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এরপর চুক্তি হয়েছে। আজ-কালের মধ্যে হয়তো এলসিও হয়ে যাবে। এছাড়া মিয়ানমার থেকে আরও দুই লাখ টন চাল আনার প্রস্তাব আগামীকাল (বুধবার) ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে যাচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

ভিয়েতনাম থেকে আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৫২১ ডলার ও আতপ চাল ৪৯৪ ডলার করে পড়বে। প্রতি টন চাল ভারত থেকে ৪৪৩.৫ ডলার ব্যয়ে আনা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা সরকারিভাবে চাল আরও কিনবো। কারণ এবার প্রকৃতির অবস্থা খারাপ। আমনের ফলন কম হতে পারে। খরাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হলো এটা।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ডের কাছে আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। তারা সেভাবে সাড়া দেয়নি। আগে চুক্তির পরও চাল নেওয়া হয়নি বলে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মতবিরোধ আছে। তারপরও তারা এগিয়ে এসেছে। আমরা থাইল্যান্ড থেকে চাল নেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানের কারণে ভিয়েতনামের চালের দাম একটু বেশিই থাকে। দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে যেখান থেকে পারব চাল আনতে হবে। টাকার দিকে তাকিয়ে তো লাভ নেই।’

বর্তমানে সরকারি খাদ্যশস্যের মজুত সর্বোচ্চ জানিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বাজার দর নিম্নমুখী, চালের দাম কমেছে। মিল গেট থেকে শুরু করে পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।’

সারাবাংলা/জিএস/এমও

চাল-গম বোরো সংগ্রহ অভিযান সরকারি

বিজ্ঞাপন

‘মানুষ অবদান মনে রাখে না’
২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৬

আরো

সম্পর্কিত খবর