Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উচ্ছেদে গিয়ে গাড়ি আমদানিকারকের ‘পা ভাঙল’ চসিক কর্মীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২১:২২

চট্টগ্রাম ব্যুরো : অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় বাকবিতণ্ডার জেরে এক গাড়ি আমদানিকারকের ‘পা ভেঙে দেওয়ার’ অভিযোগ পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নিরাপত্তা কর্মীদের বিরুদ্ধে। চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেমের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ। তবে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি।

রোববার (০৪ সেপেটম্বর) গাড়ি আমদানিকারক বেলায়েত হোসেন এ ঘটনার বিচার চেয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বেলায়েত হোসেন নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর সরাইপাড়ার পোর্ট কানেক্টিং সড়কে মেসার্স ওয়ালি কার কালেকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলারস-বারভিডা’র সাবেক নির্বাহী সদস্য।

জানা গেছে, নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি ওঠানামার সুবিধার্থে বেলায়েত হোসেন একটি লোহার স্থাপনা (র‌্যাম) তৈরি করেন। চসিকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্থাপনাটি সম্পূর্ণভাবে তিনি ফুটপাতের ওপর তৈরি করেছেন। ফুটপাত দখল করে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় জনসাধারণের চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছিল।

গত ২৯ আগস্ট প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেমের উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে লোহার স্থাপনাটি উচ্ছেদ করে ‍ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়। ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত এবং বেলায়েত সেটি তখনই পরিশোধ করেন। এর মধ্যেই বেলায়েতের সঙ্গে আবুল হাশেমের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।

জানতে চাইলে বেলায়েত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘লোহার স্ট্র্যাকচারটি স্থায়ী কোনো কাঠামো ছিল না। গাড়ি ওঠানামার প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা হত, এরপর আবার সরিয়ে রাখা হতো। এরপরও যখন ভ্রাম্যমাণ আদালত সেটি উচ্ছেদ করতে এল, আমি বিনয়ের সঙ্গে আবুল হাশেম সাহেবকে বললাম- প্রতিষ্ঠানটি আমার মালিকানাধীন জায়গায়, সামনের অংশও আমার মালিকানাধীন। আমার নিজের জায়গায় আমি র‌্যাম বসিয়েছি, এখানে ফুটপাতে চলাচলে তো কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

‘আমি নিজেকে সিআইপি পরিচয় দিয়ে বললাম- এরপরও যদি আপনাদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয় আমাকে সময় দেন, আমি আবেদন করব। কিন্তু আবুল হাশেম সাহেব আমার কথাকে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে পুরো ভবন সিলগালা করে দেবেন বলে হুমকি দেন। এরপরও আমি শান্ত থাকার চেষ্টা করি। আমি প্রতিষ্ঠানে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি আমাকে বেয়াদব ডেকে নিরাপত্তা কর্মীদের বলেন- একে (বেলায়েত) এখান থেকে নিয়ে যাও। নিরাপত্তা কর্মীরা আমাকে টেনেহিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে ভবনের নিচে ফেলে দেয়। এতে আমার পায়ের গোড়ালি ফ্র্যাকচার হয়ে যায়। আমি এখন চিকিৎসাধীন আছি।’

গত ৩১ আগস্ট বেলায়েত হোসেন সশরীরে মেয়রের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাকে ‘নির্যাতনের’ প্রমাণ দেখান বলে জানান।

মেয়র বরাবরে দেওয়া চিঠিতে বেলায়েত হোসেন চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিচার দাবি করেন। ন্যায়বিচার না পেলে তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন বলেও উল্লেখ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। আমরা যখন উচ্ছেদ অভিযানে যাই, প্রথমে উনি (বেলায়েত) খুব ভালো ব্যবহার করেন। আমরা যখন র‌্যামটি তুলে নিচ্ছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাজে বাধা দেন। নিজেকে বারভিডার মেম্বার, সিআইপি এসব পরিচয় দিয়ে খুবই বাজে আচরণ করেন। আমি তখন নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছি, উনাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে। নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়ে যাবার সময় তিনি লোহার স্ট্যাকচারের ওপর পড়ে গিয়ে পায়ে ব্যথা পান।’

‘উনি ফুটপাতের ওপর অবৈধভাবে র‌্যামটি স্থাপন করেছিলেন। কোনো ধরনের পারমিশন নেননি। এতে একজন পথচারী পুরো ফুটপাত হেঁটে এসে উনার প্রতিষ্ঠানের সামনে এলে তাকে রাস্তায় নেমে যেতে হচ্ছে। এই অবৈধ স্থাপনা তো আমরা রাখতে পারি না। এরপরও উনি যেহেতু একজন সম্মানিত ব্যবসায়ী-সিআইপি, আবেদন করলে অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আমরা সেটা উনাকে বলার পরও আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন’- বলেন আবুল হাশেম

সারাবাংলা/আরডি/একে

চসিক টপ নিউজ সিটি করপোরেশন

বিজ্ঞাপন

২৪ ম্যাচ পর হারল লিভারপুল
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩১

সাভারে তিন গাড়িতে আগুন, নিহত ৪
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর