চট্টগ্রামে ৮ মাসে ১৫৪ ডেঙ্গু রোগী, ৪৭ জনই শিশু
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২৩:৩৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে গত আট মাসে ১৫৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭ জনই শিশু। এ অবস্থায় ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
ডায়রিয়া, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি এবং হাসপাতালে চলমান অভিযান সম্পর্কে জানাতে বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।
ডেঙ্গু রোগীর তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন মশক নিধনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে তার ফলাফল নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন রয়েছে। উদ্যোগ যা-ই হোক ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।’
ডায়রিয়া পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘জনসংখ্যার বিচারে চট্টগ্রামে ডায়রিয়া পরিস্থিতি তেমন খারাপ নয়। তারপরও যখন একই এলাকা থেকে সব রোগী আসছে, আমরা বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে একটি টিম ঘটনাস্থলও ঘুরে দেখেছেন। এতে ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি পানিবাহিত রোগের জন্য উপযোগী বলে জানিয়েছে তদন্ত টিম।’
এদিকে, অনিয়ম পেলে কোনো হাসপাতাল- ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রেজিস্ট্রেশন নম্বর সাইনবোর্ডে লিখতে হবে। এমনকি সাইনবোর্ডে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে কিউআর কোড বসাতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী সাইনবোর্ড লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।’
‘কিছু প্রতিষ্ঠানকে আমরা সপ্তাহ, দশ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছি, যাতে সংশোধন হতে পারে। যদি তারা সংশোধন না হয় তাহলে আমার স্থায়ী ব্যবস্থা নেব। সিভিল সার্জন চাইলেই কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে। তবে আমরা চাই না কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর হতে। যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেকের রুটি রুজি জড়িত। আবার তার মানে এই নয় যে, তারা অনিয়ম করলেই ছাড় দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম