‘ডলার কারসাজিতে জড়িত কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না’
৩০ আগস্ট ২০২২ ১৬:২০
ঢাকা: প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দাম বাড়ানোর প্রমাণ পাওয়ায় ছয় ব্যাকিং প্রতিষ্ঠানের ট্রেজারি প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও যেসকল ব্যাংকের বিরুদ্ধে এমন কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, ওই ছয় ব্যাংক ছাড়াও অন্য ব্যাংকের বিষয়েও সরকার খোঁজ খবর রাখছে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ডলার কারসাজিতে জড়িত কোনো প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মঙ্গলবার ( ৩০ আগস্ট) সচিবালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিষয়টা অস্বীকার করার অবকাশ নেই যে ছয়টি ব্যাংকের কারসাজির কারণে বাজারে ডলারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। আপনারা জানেন ওই ছয় ব্যাংককে শোকজ করা হয়েছে। পরবর্তীতে হাই অফিসিয়ালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে ডলার নিয়ে ব্যাংকের কারসাজি প্রতিফলিত।
তিনি বলেন, ছয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আরও যেসকল ব্যাংক এমন কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার খোঁজ নিচ্ছে। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের লাভের খাতায় যেরকমভাবে লাভ দেখা যাচ্ছে, তা স্বাভাবিক নয়। এরকমভাবে প্রফিট কি করে করল তারা, সেটার জবাব কিন্তু তাদের দিতে হবে। এর পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি না সরকার সার্বিকভাবে তা লক্ষ্য করছে।
উল্লেখ্য, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের সংকট দেখা দেয়। ফলে গত দুই মাস ধরে ডলারের দাম আকাশ ছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছে যায়। ওই পরিস্থিতিতে এলসির পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারপরেও সংকট থেকে যায়। আর ওই সংকটময় মুহুর্তে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার সংরক্ষণ করে দাম বৃদ্ধি করে দেয় কয়েকটি ব্যাংক। যার প্রমাণ পাওয়ায় দেশের পাঁচটি ব্যাংক এবং বিদেশি একটি ব্যাংককে শোকজ করা হয়। পরবর্তীতে ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের অপসারনের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ