‘আগামীকালের হরতাল জনগণের বেঁচে থাকার হরতাল’
২৪ আগস্ট ২০২২ ১৩:৩৩ | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২২ ১৪:৩৪
ঢাকা: জ্বালানি তেল, ইউরিয়া সার, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের নাম, পরিবহন ভাড়া কমানো ও বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দেশব্যাপী অর্ধদিবস (৬টা-১২টা) হরতাল কর্মসূচি পালন করবে। এই অর্ধদিবস হরতাল সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তারা বলেছেন, এই হরতাল কর্মসূচি জনগণের বেঁচে থাকার হরতাল। এই হরতাল শুধু বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতাল নয়, জনগণের হরতাল। এই হরতাল কর্মসূচির পরও সরকার দাম কমানোর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) সিপিবি কার্যালয়ের হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের সমন্বয়ক সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সভাপিতি মো. শাহ আলম, জোটের সাবেক সমন্বয়ক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বজলুর রশিদ ফিরোজ, সিপিবি নেতা ডা. বজলুর রহমান, বাসদ মার্কবাদী নেতা মানস নন্দি, সিপিবির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমাদের নেতাকর্মীরা সারাদেশে হরতালের আহ্বান দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিন প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশ করে চলেছে। এবারের হরতালে আমরা লক্ষ্য করলাম মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই হরতালে সমর্থন জানাচ্ছে। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কর্মীদের সঙ্গে প্রচার কাজে অংশ নিয়েছেন। প্রচারের সময় সাধারণ মানুষ তাদের দুঃসহ জীবনের কথাও তুলে ধরেন। সরকারি দলের লোকজন ও পুলিশ অনেক জায়গায় প্রচারে বাধা দেওয়া, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, মাইক ভাঙচুর, ব্যানার-লিফলেট ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছে। এসব বাধা উপেক্ষা করে আমরা আমাদের প্রচার কাজ অব্যাহত রেখেছি। ২০ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় আমাদের প্রচারণা ও সমাবেশে সরকারি দলের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় আমাদের মিছিলে হামলা চালায় সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা। ২২ আগস্ট নাটোর জেলার হরিশপুর বাইপাসে পথসভা চলাকালীন ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে নেতা-কর্মীদের মারধর করে ব্যানার-লিফলেট ছিনিয়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলে, মাইক ব্যাটারি ভাঙচুর করে এবং সমাবেশ পণ্ড করে দেয়।
২২ আগস্ট সিলেট সদরে সমাবেশ ও মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়, হামলা চালায়। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে আমাদের নেতাকর্মীরা সমাবেশ ২৩ আগস্ট কেরানীগঞ্জে লিফলেট বিতরণের সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লিফলেট ছিনিয়ে নেয় ও ছিড়ে ফেলে। ঐ সন্ত্রাসীরা বলে, এটা কিন্তু মন্ত্রীর এলাকা, এখানে হরতাল, লিফলেট বিলি চলবে না। এছাড়া বেশ কিছু এলাকায় আমাদের সমাবেশের প্রস্তুতি চলাকালীন সময়ে ও সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সরকারি দলের লোকজন নানা ভাবে মহড়া দিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করতে দেখা যায়।। ‘দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ এই শ্লোগান নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার হরতাল শুধু বামপন্থীদের হরতাল নয়, এ হরতাল দেশের সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার দাবির হরতাল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় হরতালের আওতার বাইরে থাকবে জরুরি সেবাদানকারী যানবাহন যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, লাশ বহনকারী গাড়ি, গণমাধ্যমের গাড়ি। এছাড়া ওষুধের দোকান, খাবার হোটেল হরতাল কর্মসূচির আওতার বাইরে থাকবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএসএ