Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে রাজাকার হয়ে যায়: জোনায়েদ সাকি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ আগস্ট ২০২২ ১৪:০০ | আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২২ ১৭:১০

ঢাকা: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে সে রাজাকার হয়ে যায়। অথচ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করছে। একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের কবলে দেশ ও জনগণের মানুষ। এই সরকারকে হঠাতে হবে। দেশের শাসন ব্যবস্থা বদলাতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রাক্কালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অঞ্জন দাস, দিপক রায়, জুলহাস বাবু প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল পল্টন হয়ে জিরোপয়েন্ট দিয়ে সচিবালয়ের দিকে গেলে আব্দুল গনিরোডের মুখে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখে। বিক্ষোভকারীরা কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে ফেললে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে সেখানেই জোনায়েদ সাকি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা অবিলম্বে বিদ্যুৎখাতে দায় মুক্তির আইন বাতিল করে অনিয়ম অব্যবস্থাপনার জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে একটি স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করার দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। বক্তারা বলেন, কুইক রেন্টাল পদ্ধতি থেকে সরে আসার সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করতে হবে। শতভাগ দেশীয় মালিকানায় দেশের ভূগর্ভস্থ ও সাগরের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বাপেক্সকে শক্তিশালী ও সক্ষম করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ও বাজেট ঘোষণা এবং বিদ্যুৎ শহর-গ্রামে সমানভাবে বিতরণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বর্তমান সরকারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যায়িত করে সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের বক্তারা আরও বলেন, সরকার দেশের সমুদ্রবক্ষের কিংবা স্থলভাগের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের ব্যবস্থা না করে পুরোপুরি আমদানি নির্ভর জ্বালানির উপর ভর করে বিদ্যুৎ পরিকল্পনা সাজিয়েছে। এমনকি সেক্ষেত্রে জ্বালানি ক্রয়ের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি না করে খোলাবাজার বা স্পষ্ট মার্কেট নির্ভর হয়ে পড়েছে। অর্থনীতির শক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতির অভিঘাত মোকাবিলায় কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যার ফলাফল— আজকে বিদ্যুৎ দিতে গেলে পুরো অর্থনীতি ধসে পড়ার অবস্থা।

বক্তারা আরও বলেন, আপতকালীন সময়ে কথা বলে সরকারঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের লুটপাটের ক্ষেত্র হিসেবে কুইক রেন্টালকে প্রায় স্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। সেটা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উৎপাদন ছাড়াই বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ ৭০ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন আছে, কিন্তু সঞ্চালন লাইন নেই। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুইটির মধ্যে একটি সঞ্চালন লাইন থাকলেও আরেকটি লাইন তৈরি হয়নি। ফলে বিদ্যুৎ না পেয়েও ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরকার সবুজ বা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের  ক্ষেত্রে যে লক্ষ্য স্থির করেছিল তার ধারে কাছেও যায়নি বলে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, ক্যাপাসিটি চার্জের যে লুটপাট তার কিছু অংশ নবায়নযোগ্য খাতে বিনিয়োগ করলে আজকে বিদ্যুৎ সংকট হত না। এটা স্পষ্ট যে, বিদ্যুৎ খাতে আজকের সংকটের দায় পুরোপুরি সরকারের।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/আইই

জুনায়েদ সাকি

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর