৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ কমিয়েছে ওয়ালমার্ট
২২ আগস্ট ২০২২ ২০:৩৩ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২২ ২১:৩৯
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে ৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ (অর্ডার) কমিয়েছে বিশ্বখ্যাত পোশাকের ক্রেতা ওয়ালমার্ট। ক্রয়াদেশ কমিয়ে দিচ্ছে টার্গেটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও। শিক্ষার্থীদের ‘স্কুলে ফেরা’ মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পণ্য বিক্রি করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলো এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওয়ালমার্ট তাদের ক্রয়াদেশের ৩০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। কোন কোন অর্ডারের শিপমেন্ট টাইম পিছিয়ে দিচ্ছে। অনেক পণ্যে আমরা পাঁচ/ছয়মাস পিছিয়ে পড়বো। আমরা তো সব ধরণের প্রাথমিক উপকরণ কিনে বসে আছি।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এখনও ক্রয়াদেশ বাড়ছে না। ক্রয়াদেশ এখনও কমছে। অনেক বড় বড় ফ্যাক্টরি বসে আছে। কাজ না থাকায় দুপুরে লাঞ্চের পর তারা ছুটি দিয়ে দিচ্ছে।
বিজিএমইএর এই নেতা আরও জানান, যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি সংকুচিত হচ্ছে। মূল্যস্ফীতিও বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ পোশাক কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে অর্ডারে। গত মাসের চেয়ে চলতি মাসে রফতানি ৫০ কোটি ডলার কম হবে। বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ৩-৪ মাস পর অর্ডারের অবস্থা কেমন থাকবে, তা নিয়েই ভাবতে শুরু করেছেন রফতানিকারকরা।
নিটওয়্যার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ওয়ালমার্ট তো ঘোষণা দিয়ে তাদের অর্ডার স্থগিত করেছে, অনেক ক্রেতাই এখন অর্ডার স্থগিত করছে। আমরা সাড়ে ৭ লাখ ডলারের পণ্য কম্বোডিয়ায় বসে আছে। শিপমেন্টের শিডিউল স্থগিত করছে, নতুন অর্ডার আসছে না। অর্ডার এখনও সিরিয়াসলি কমছে। এলপিপি নামের একটি ক্রেতা দেশের একটি কোম্পানির ৬৬ লাখ ডলারের অর্ডার স্থগিত করেছে। সব মিলিয়ে অর্ডার প্রসেসিং কমছে, পূর্বের শিডিউল পেচাচ্ছে, পুরোনো অর্ডারের পণ্য নিতে বিলম্ব করছে।’
তবে বিকেএমইএ’র আরেক নেতা গত শনিবার সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন, সম্প্রতি আবার নতুন করে অর্ডার বাড়তে শুরু করেছে। তবে ওয়ালমার্টের ক্রয়াদেশ স্থগিতের খবরের মধ্য দিয়ে পোশাক খাতের শংকা কেটে না ওঠার আভাসই পাওয়া যাচ্ছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও