কালোবাজারে ৫ লাখ টাকার টিকিট, বুকিং সহকারী বরখাস্ত
২২ আগস্ট ২০২২ ১৯:২৯ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২২ ১৯:৩২
বেনাপোল: রেলওয়ে অফিসারদের কার্ড পাস টিকিটের গোপন পাসওয়ার্ড চুরি করে অনলাইনে টিকিট কেটে তা কালোবাজারে বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে একজন টিকিট বুকিং সহকারী। বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বুকিং কাউন্টারে ডেপুটিশনে কর্মরত এনামুল হক মামুন নামে একজন টিকিট বুকিং সহকারীকে গত বুধবার (১৭ আগস্ট) চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় একটি তদন্ত টিমও কাজ করছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (১ আগস্ট) ঈশ্বরদি রেলওয়ে জংশন থেকে ইব্রাহিম নামে একজন টিকিট কালেক্টরের হাতে এ ঘটনা প্রথম ধরা পড়ে। এরপর বেরিয়ে পড়ে থলের বিড়াল।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘কুষ্টিয়ার দৌলতপুর রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত টিকিট বুকিং সহকারী গ্রেড-২ এনামুল হক মামুন গত ৭ জানুয়ারি ২০২২ বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ডেপুটিশনে যোগদান করেন। পরে সে অফিসারদের গোপন কার্ড পাসওয়ার্ড চুরি করে অফিসারদের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ৪ সিটের প্রতিটি কেবিন ৪ হাজার ৪৬৪ টাকায় বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
প্রাথমিক তদন্তে বিক্রি করা ৪ লাখ টাকার টিকিট ধরা পড়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। এছাড়া সে টিকিট কার্ড পাসের মাধ্যমে ব্লক করে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ অর্থে টিকিট বিক্রি করেছে কয়েক লাখ টাকার। তদন্ত ছাড়া টাকার পরিমান বলা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুন বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা আমাকে অফিসার পাসে টিকিট করতে বলেছেন। আমি সে মোতাবেক কাজ করেছি। কর্তৃপক্ষ আমাকে সাময়িক চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’
বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (পাকশী) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযুক্ত টিকিট বুকিং সহকারী এনামুল হক মামুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে এনামুল হক মামুনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও