ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্ম বিরতিতে সেবায় বিঘ্ন ঘটেনি
১৫ আগস্ট ২০২২ ১৫:২২ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২২ ১৪:২৬
ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্ম বিরতির সময় রোগিদের চিকিৎসা সেবার কোনো ব্যাহত হয়নি। এছাড়া ইন্টার্ন চিকিংসকরা রোগীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে দাবি আদায়ের চেষ্টাও করেনি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে শহীদ মিনার চত্বরে ইন্টার্ন চিকিৎসক লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে সাময়িক কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘটনায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন পরিচালক।
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের সহকর্মীর মারধরের বিচার চেয়ে সাময়িক কর্মবিরতিতে ছিল। তারা হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেয়নি। হাসপাতালে অনেক চিকিৎসক আছে। এই কয়দিন তাদের একটু বাড়তি চাপ গেছে। তবে সেবা অব্যাহত ছিল।
পরিচালক আরও বলেন, গত ৮ আগস্ট রাতে হাসপাতালে ক্যাম্পাসের বাইরে জাতীয় শহীদ মিনার এলাকায় একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হন। ঘটনা জানার পরপরই মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদফরতর) নিজে উপস্থিত হয়ে পরিচালক মহোদয়, বিভাগীয় প্রধানরা, কলেজ অধ্যক্ষ এবং ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। যেহেতু ঘটনাটি শহীদ মিনার এলাকায়, তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরবর্তীতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিচালক বলেন, মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য অধিদফতর) পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগত করা হলে তিনি তৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে পুলিশ কার্যক্রম জোরদার করার ব্যবস্থা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ইন্টার্ণ চিকিৎসক নেতাদের মাধ্যমে সনাক্তের প্রচেষ্টা চালান। এর আগে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের সহপাঠীকে মারধরের কারণে সাময়িক কর্মবিরতি পালন করেন। এ সময় হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা সকলের কাজ করেছেন বিধায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের কোনোভাবেই ব্যাহত হয়নি।
গতকাল ১৪ আগস্ট সকলের আশ্বাসের ইন্টার্নদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বিষয়ে পরিচালক বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কখনোই রোগীর স্বাস্থ্যসেবাকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে নাই এবং কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সর্বদা সচেষ্ট ছিল।
হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা.আশরাফুল আলম বলেন, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি সম্পর্কে বলব, আমাদের হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসক বাদ দিয়ে প্রায় দুই হাজার চিকিৎসক আছে। পর্যাপ্ত পরিমানে নার্স আছেন। স্বাস্থ্য সেবায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হয়নি। হাসাপাতাল আগের মতই স্বাভাবিক চলছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এসএসএ