Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উত্তরায় গার্ডার চাপায় নিহতের ঘটনায় বিআরটি’র সব কাজ বন্ধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৬ আগস্ট ২০২২ ১২:৪২ | আপডেট: ১৬ আগস্ট ২০২২ ১৭:৩৪

ঢাকা:

রাজধানীর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) সব ধরনের কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় বিআরটি প্রকল্পের সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে।

উত্তরার জসিমউদদীন এলাকায় গার্ডার চাপায় ৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে দিকে উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এ ঘোষণা দেন ডিএনসিসি মেয়র।

মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বিআরটি, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলছে। সব প্রকল্পের পরিচালকদের আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) নগর ভবনে ডাকা হয়েছে। তারা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই কাজ শুরু করতে পারবে।

তিনি বলেন, যেকোনো নির্মাণ প্রকল্পে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কমপ্লায়েন্স, বিদ্যুৎ সংযোগের কমপ্লায়েন্স ও মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। শুধু বিআরটি প্রকল্প নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোন প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষ আমার সামনে আছেন। আমি গতকালও তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সচিবের সঙ্গেও কথা হয়েছে। আমি বলেছি বিআরটির কাজ বন্ধ করে দেব। আপনারা আমার সঙ্গে পরশু বসবেন। শুধু এই প্রজেক্টই নয়, ঢাকা শহরে যতগুলো প্রজেক্ট চলছে, সবগুলো বন্ধ থাকবে।

দূর্ঘটনার স্থান পরিদর্শন করে পাঁচজন নিহতের ঘটনাটিকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও মর্মান্তিক বলে উল্লেখ করেন আতিকুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বিআরটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ব্যস্ত সড়কে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ভারী গার্ডার তুলতে হবে। একটি ক্রেন দিয়ে কাজ করার সময় যেকোনো ত্রুটি হতে পারে বা দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য বিকল্প আরও একটি ক্রেন প্রস্তুত রাখতে হবে। দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও থাকার কথা। বিআরটি এগুলোর কিছুই করেনি।

তিনি আরও বলেন, এ প্রকল্প কাজ পরিচালনায় ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। এভাবে উন্নয়ন কাজ চলতে দেওয়া যাবে না। আগে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

বিআরটি প্রকল্পের মহা-ব্যাবস্থাপকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, প্রকল্প চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়গুলো সাইনবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে। প্রকল্প কবে শেষ হবে সেটিও সাইনবোর্ডে উল্লেখ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ঢাকা শহরে প্রকল্পের কাজ চালানো যাবে না। আর একটি দূর্ঘটনাও যেন না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ক্রেন দিয়ে গার্ডার তোলার সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা বা বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবহিত করে তাদের সহায়তা নেয়া উচিৎ ছিল। আমি খোজ নিয়েছি বিআরটি প্রকল্প থেকে ট্রাফিক বিভাগের সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের অবহেলার কারণেই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা গত সপ্তাহেও ডিএনসিসিতে ঢাকা শহরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জনগণের নিরাপদ চলাচলের বিষয় নিয়ে সভা করেছি। জনগণের দূর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কাজ চালানোর আহবান করেছি।

বিজ্ঞাপন

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বিআরটি’র মহা-ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সারাবাংলা/এসবি/এএসএ

উত্তরায় গার্ডার চাপা

বিজ্ঞাপন

বাধ্য হয়ে জোভান-তটিনীর বিয়ে!
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৯

তাসকিনদের ঝলকে জয়ে ফিরল রাজশাহী
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০০

আরো

সম্পর্কিত খবর