দীপ-সনি হত্যার বিচার দাবি মুছে গেল বুয়েট থেকে
১৫ আগস্ট ২০২২ ১৫:০২ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫৩
ঢাকা: প্রায় ২০ বছর আগে ছাত্রদলের দুইপক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি। এই ঘটনার ১০ বছর পর বুয়েট ক্যাম্পাসে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আরিফ রায়হান ওরফে দীপ। দীর্ঘসময় পেরিয়ে গেলেও আলোচিত এই দুই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি আজও। সম্প্রতি আবারও আলোচনায় আসে এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি। রোববার (১৪ আগস্ট) রাতে বুয়েট ক্যাম্পাসের অর্ধশতাধিক জায়গায় সনি ও দীপ হত্যার বিচার চেয়ে দেওয়াল লিখন করা হয়। অথচ ভোরের আলো ফোটার আগেই গভীর রাতে মুছে দেওয়া হয়েছে তাদের বিচার দাবির স্লোগান।
দীপ-সনি হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান লেখা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুয়েটের এক শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা কোনো সংগঠনের ব্যানারে কিংবা কারো পক্ষ থেকে না, হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছি। একজন মানুষ হত্যার বিচার চাইতে পারবে না? আবরার হত্যার বিচার চেয়ে লেখা দেওয়াল লিখন যদি থাকে তাহলে দীপ-সনির অপরাধ কী? তাদের হত্যার বিচার চাওয়া কি অপরাধ? এক প্রতিষ্ঠানে এমন দ্বিচারিতা কেন?
সরেজমিনে দেখা যায়, সনি এবং দীপের বিচার চেয়ে লেখা স্লোগানগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। এখানে যে গতরাতেও কিছু লেখা ছিল, তার কোনো অস্তিত্বই নেই।
এই বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাউকে ক্যাম্পাসে পাওয়া যায়নি।
এর আগে শনিবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের ব্যানারে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয়ে ছাত্রলীগের এই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া জানান কিছু শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, সন্দেহভাজন হেফাজতকর্মীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র এবং ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ রায়হান ওরফে দীপ ২০১৩ সালের ২ জুলাই ভোররাতে মারা যান।
২০০২ সালের ৮ জুন দরপত্র নিয়ে বুয়েট ছাত্রদলের মুকি এবং এসএম হল ছাত্রদলের টগর গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধের মাঝখানে পড়ে নিহত হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি। এ ঘটনার পর সারাদেশে আন্দোলন হয়।
সারাবাংলা/এসএসএ/এএম