Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজশাহীতে খুন করে চট্টগ্রামে আত্মগোপন, বাবা-মা-ছেলে গ্রেফতার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ আগস্ট ২০২২ ১৪:২১ | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২২ ১৬:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: রাজশাহীতে প্রতিবেশীকে খুন করে চট্টগ্রামে এসে আত্মগোপনে থাকা এক দম্পতি ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব জানিয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ায় উচ্চশব্দে গান বাজাতে নিষেধ করায় প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে মাথায় আঘাত ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

হত্যাকাণ্ডের ১২ দিন পর শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার মাদাম বিবিরহাট ও উত্তর সলিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার তিনজন হলেন- বকুল আলী (৪৫) ও তার স্ত্রী মোছাম্মৎ আমেনা (৪০) এবং ছেলে নাহিদ হোসেন (২০)। তাদের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর শাহ মখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায়।

গত ১ আগস্ট রাতে তাদের প্রতিবেশী মুকুল আলী (৪৫) খুন হন। এ ঘটনায় রাজশাহী মহানগর পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এরা হলেন- বকুল আলীর মেয়ে খাদিজা, ভাইয়ের ছেলে মিঠুন ও মোমিন এবং আত্মীয় সোহেল ও পলাশ।

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনার রাতে নাহিদ তার ঘরে উচ্চশব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে গান শুনছিলেন। নিহত মুকুলের মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় এতে তার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছিল এবং একপর্যায়ে তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। মুকুল গিয়ে নাহিদকে উচ্চশব্দে গান বাজানো বন্ধের অনুরোধ করেন। নাহিদ তখন শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল চলে যাবার পর আবারও উচ্চশব্দে গান চালু করেন।

মুকুল আবার গিয়ে এর প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে বকুল ও তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে মিলে মুকুলের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এরপর তাকে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত করা হয়। মুকুলের চিৎকার শুনে ছেলে শাহীন আলম ও জামাতা আলমগীর সেখানে গেলে তাদেরও ছুরিকাঘাতে জখম করা হয়। আহত মুকুলকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় মুকুলের ছেলে শামীম ইসলাম বাদী হয়ে শাহ মখদুম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর উপ অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ রেজোয়ানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার রাতেই বকুল তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে সীতাকুণ্ডে চলে আসেন। বকুল ও নাহিদ পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। চট্টগ্রামে এসে তারা একই পেশায় যুক্ত হন। উত্তর সলিমপুর এলাকায় দুই রুমের টিনশেড একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাদের অবস্থান শনাক্ত করি। বকুল ও নাহিদকে মাদাম বিবিরহাট এলাকায় কৌশলে এনে গ্রেফতার করি। আমেনাকে সলিমপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

সারাবাংলা/আরডি/আইই

খুন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর