পরমাণু কেন্দ্র থেকে রুশ বাহিনী হটানোর আহ্বান জেলেনস্কির
১২ আগস্ট ২০২২ ১৪:২১ | আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২ ১৬:০৮
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে দখলদার রুশ বাহিনীকে চলে যেতে বাধ্য করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সম্প্রতি ওই এলাকার আশপাশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ হামলার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে দুই দেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘জাপোরিঝিয়া থেকে দখলদারদের তাড়াতে সমগ্র বিশ্বকে অবিলম্বে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। শুধুমাত্র রাশিয়ানদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার সমগ্র ইউরোপের জন্য পারমাণবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’ এছাড়াও ‘রাশিয়ান পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল’ এর নিন্দা করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাশিয়া এবং ইউক্রেন পরস্পরকে প্লান্টের কাছে নতুন গোলাগুলির জন্য অভিযুক্ত করেছে, তবে তাদের দাবি স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি।
এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে সব ধরনের সামরিক কার্যকলাপ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কোনো ক্ষয়ক্ষতি এই অঞ্চলে এবং এর বাইরেও বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। রাশিয়ার ডাকা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে এই বিবৃতি দেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, জাপোরিঝিয়াকে ঘিরে সামরিক কার্যকলাপ খুবই উদ্বেগজনক। ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে অবিলম্বে পারমাণবিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ক্ষতির মূল্যায়ন করার পাশাপাশি কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা বিধানের জন্য অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানান। কারণ পরিস্থিতি খুব দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
এর আগে, ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু করার পরপরই মার্চে দক্ষিণ ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রটি দখল করে রেখেছে রুশ সেনাবাহিনী। এটি ইউরোপের বৃহত্তম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১৯৮৬ সালে চেরনোবিল বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়া দেশটিতে পারমাণবিক বিপর্যয়ের আতঙ্কের মধ্যে গত সপ্তাহে প্ল্যান্টের কাছে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক জ্বালানি বিষয় প্রতিষ্ঠান এনারগোঅটম এজেন্সি জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জাপোরিঝিয়া কমপ্লেক্সে পাঁচবার হামলা করা হয়েছিল। সেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পদার্থ সংরক্ষণ করা হয়। ঠিক তার কাছাকাছিই এই হামলা করা হয়েছে।
সারাবাংলা/এনএস