Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কম খরচে খামারি বানাতে পারবে মাছের খাবার, যন্ত্র উদ্ভাবন শেকৃবিতে

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২২ ০৮:৪৬ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২২ ০৮:৪৭

প্রচলিত বাজারদরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম খরচে মাছের ভাসমান খাদ্য উৎপাদনের যন্ত্র তৈরি করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো মাসুদ রানা।

শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন ফিস ইন্ডাস্ট্রির একটি লিংক তৈরি হলো। শিক্ষকদের মেধা দিয়ে গবেষণা করতে হবে। কৃষি বিজ্ঞানকে দেশের অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

বিজ্ঞাপন

প্রাণিজ আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস মাছ। প্রায় ৬০ শতাংশ প্রাণিজ আমিষ আসে মৎস্য খাত থেকে। কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন এবং পুষ্টি সরবরাহে মাছের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাভজনক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান শর্ত মানসম্মত খাবার। মাছ চাষে ৭০ শতাংশের বেশি খরচ হয় খাবার সরবরাহে।

মাছ চাষের খাবারের খরচ কমানোর পাশাপাশি খামারিরা যেন নিজের খামারের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিজে উৎপাদন করতে পারে, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ফিশিং এন্ড পোস্ট হারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় চেয়ারম্যান মো. মাসুদ রানা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছের খাদ্য তৈরির মেশিন সাউ ফিড মিল-১ উদ্ভাবন করেছেন।

মেশিনটি তৈরি করতে মোট সময় লেগেছে এক বছর ছয় মাস ও মেশিনটি তৈরিতে খরচ হয় ১২ লাখ টাকা। উদ্ভাবক মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষিদের খাবারের সরবরাহ ও খরচ কমাতে মেশিনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। নিরাপদ মাছ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ মৎস্য খাদ্য। যেহেতু খামারি মাছের খাদ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজেই খাদ্য উৎপাদন করবে, সেক্ষেত্রে খাদ্য যেমন নিরাপদ হবে; তেমনই ওই খাদ্য প্রয়োগ করে উপাদিত মাছও নিরাপদ হবে।

বিজ্ঞাপন

উদ্ভাবিত মেশিনটির বিশেষত্ব সম্পর্কে মাসুদ রানা বলেন, একই মেশিন দিয়ে খামারি মাছের ভাসমান ও ডুবন্ত উভয় প্রকার খাদ্য তৈরি করতে পারবে। পাশাপাশি মেশিনটি দিয়ে ০.৫ মিলি থেকে ৫ মিলি আকারের সকল প্রজাতির মাছ ও চিংড়ির খাদ্য তৈরি করা যাবে।

মেশিনটিতে এডভান্সড মিলিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে এটি একটানা ১০-১২ ঘণ্টা খাদ্য উৎপাদন করতে পারবে। এর মাধ্যমে ঘণ্টায় ৭০-৮০ কেজি খাবার উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি কেজি খাদ্য উৎপাদনে খরচ হবে ৩৮-৪০ টাকা, যা বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি ফিড মিল ৫৮-৬০ টাকায় ক্রয় করতে হয়। ফলে প্রতিকেজি খাবারে ২০ টাকা খরচ কমবে।

উদ্ভাবিত মেশিন দিয়ে মাছের খাদ্যের পাশাপাশি হাঁস, মুরগী, কবুতরসহ অন্যান্য যেকোনো পাখির খাদ্য তৈরি করা সম্ভব, যা মৎস্য সেক্টরের পাশাপাশি পোলট্রি শিল্পে এক অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিবে বলে জানিয়েছেন মেশিনটির উদ্ভাবক।

সারাবাংলা/এএম

মাছের খাবার শেকৃবি

বিজ্ঞাপন

লন্ডনের পথে খালেদা জিয়া
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩৯

আরো

সম্পর্কিত খবর