বগুড়ায় অনেক তেলের পাম্প বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
৬ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫১ | আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫২
বগুড়া: হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। অনেক পেট্রোল পাম্পই তেল বিক্রি বন্ধ রেখেছে। একইসঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বাস। ফলে প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
গতকাল শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে বগুড়াসহ এই অঞ্চলের পাম্পগুলো তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। ফলে পাম্পগুলোতে মোটরসাইকেলের লম্বা লাইন দেখা যায়। কিছু কিছু পাম্প তেল বিক্রি করে, পরে তারাও তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয়। শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে কিছু পাম্প বর্ধিত মূল্যে তেল বিক্রি করলেও এখনো অনেক পাম্প বর্ধিত মূল্যে তেল আসার পর বিক্রি করবে বলে জানান।
অপরদিকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করলেও তেল দিয়ে চালিত বাস-মিনিবাসগুলো তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বন্ধ রয়েছে। শুধু মাত্র গ্যাস চালিত বাস-মিনিবাসগুলো চলাচল করছে। এ কারণে বগুড়াসহ বিভিন্ন রোডে বাস মিনিবাসের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এতে করে যাত্রী সাধারণের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সজল নামের এক যাত্রী জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বেই অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। তবে সরকার যদি একটা বাসভাড়া নির্ধারণ করে দেন তাহলে আমাদের আর বাড়তি টাকা গুণতে হয় না।
পরিবহন শ্রমিক বায়োজিদ বলেন ‘হঠাৎ করে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রীরা যেমন বেকায়দায় পড়েছেন। পাশাপাশি আমরাও বেকায়দায় পড়েছি। পূর্বের ভাড়ায় যাত্রী নিলে লোকসানে পড়তে হবে। এতে মালিকরা গাড়ি ছাড়তে চাচ্ছেন না।’
পরিবহন মালিক আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমার ৬টি গাড়ি রয়েছে, তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমি গাড়িগুলো বন্ধ রেখেছি।’
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পাম্প মালিক জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে আমরা পূর্বের দামেই তেল বিক্রি করেছি। কিন্তু রাতে এত বেশি গাড়ি, মোটরসাইকেল তেল নিয়েছে যে, রাতেই তেলে মজুদ ফুরিয়ে যায়।
তবে বগুড়ার প্রায় প্রতিটি পেট্টোল পাম্পেই ডিজেল এবং পেট্টোল মজুদ রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছু তেল বিক্রি করে বাকিটা বেশি মূল্যে বিক্রি করবে বলে মজুদ রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব নজরদারী করার জন্য জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কেউ উদ্যোগ নেয়নি।
সারাবাংলা/এনএস