‘বিমানের কাস্টমার সার্ভিস কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের না’
৪ আগস্ট ২০২২ ২০:১৭ | আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২২ ২০:১৯
ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানের কাস্টমার সার্ভিস কাঙ্ক্ষিত (এক্সপেক্টেড) পর্যায়ের না বলে স্বীকার করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. যাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিমানের বলাকা ভবনে ‘মিট দ্য প্রেস’-এ তিনি এ কথা বলেন।
বিমানের সিইও যাহিদ হোসেন বলেন, ‘কোভিডে সারা পৃথিবীর অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়। বিমান সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছে। আমরা ২০২১-২২ অর্থবছরে ২২ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছি। আমরা যাত্রী সেবা দিতে কর্মকর্তাদের গ্রুমিং করছি। কীভাবে ভালো যাত্রী সেবা দেওয়া যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। যাত্রীরা আমাদের সবকিছু। সার্ভিস ভালো না হলে আমরা যাত্রী পাব না। তাই সেবার বিষয়ে আমরা সতর্ক রয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমানের বার্ষিক টার্নওভার এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। এটা করতে হলে আমাকে ব্যবসা বড় করতে হবে। সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা করে নিতে হবে। বর্তমানে বিমানের বার্ষিক টার্নওভার ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমার প্রধান লক্ষ্য হলো লাভ করা, বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা। বিমানের যাত্রীদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা। তবে আমাদের কাস্টমার সার্ভিস আশানুরূপ পর্যায়ের না, এটাতে আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে। যেহেতু আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হলো বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা, তাই আমরা সব সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিকভাবেই নেব। তবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের কমিটমেন্টকেও রক্ষা করা হবে।’
যাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৮০ লাখ প্রবাসী রয়েছে। তারা বিমানে চলাচল করতে চায়। আমরা আমাদের প্লেনগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের চেষ্টা করব। এটাই লক্ষ্য কীভাবে প্রবাসীদের আকর্ষণ করব আমরা। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাস্টমার সার্ভিস। যাত্রী সেবার উন্নয়ন করেছি কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী নয়।’
লাগেজ ছুঁড়ে মারা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিমানের এমডি বলেন, ‘যে ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি পুরনো। এখন হচ্ছে না। লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ে নতুন ইক্যুইপমেন্ট আনছি। নজর রাখেন আমরা পরিবর্তন আনছি। বিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাদের গাফিলতি ছিল। সাসপেন্ড করা হয়েছে কয়েকজনকে। লাগেজ পেতে দেরির কারণেও দুঃখ প্রকাশ করছি। এখন সময় আরও কমেছে। আমরা সবকিছু চেষ্টা করছি। তবে এক সাথে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না।’
বিমানে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখন ছিলাম না। আর আগের সহকর্মীকে নিয়ে কিছু বলতে চাই না। দুদক এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন কাজ করছে। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই আমার। তবে দুর্নীতি হয়েছে কি না সেটা নিশ্চয়ই তদন্ত যারা করেছে তারা বলতে পারবে।’
সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম