Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে জ্বালানি তেলের সংকট নেই, বিভ্রান্ত করতে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্টেন্ড
২৭ জুলাই ২০২২ ১৫:৫৩ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ১৭:১৯

ঢাকা: জ্বালানি তেলের মজুত নিয়ে যে শঙ্কার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে তা উড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জানিয়েছে, দেশে জ্বালানির সংকট নেই, এ নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এলসি (ঋণপত্র) সংকটের কারণে সম্প্রতি আমদানিতে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তবে সে সংকট দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিপিসির তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ডিজেলের মজুতের পরিমাণ ৪ লাখ ৫ হাজার টন। ফার্নেস অয়েলের মজুত ৮৩ হাজার টন, অকটেন ১৪ হাজার ৩০০ টন, পেট্রোল ১৭ হাজার ৬০০ টন এবং কেরোসিনের মজুত ১৩ হাজার ৪০০ টন।

বিজ্ঞাপন

সূত্র অনুসারে, দেশে ডিজেলের মজুতের সক্ষমতা ছয় লাখ টনের বেশি। অকটেন মজুতের সক্ষমতা ৪৬ হাজার টন, পেট্রোলের মজুতের সক্ষমতা ৩২ হাজার টন, কেরোসিন ৪২ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল মজুত রাখা যায় দেড় লাখ টন। বিপিসির সক্ষমতা অনুযায়ী দেশে সাধারণত ৪৫ দিনের ডিজেল সবসময় মজুত রাখা যায়। বর্তমানে তা ৩৫ দিনে নেমে এসেছে। আর এ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে ডিজেলের বিক্রি বেড়ে যাওয়া, আবার সীমান্ত এলাকায় ডিজেল পাচার রোধে রেড এলার্ট জারি হওয়ায় এ খাতে এক ধরনের ভীতি তৈরি হয়েছে। তবে বিপিসি বলছে, এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশে জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে ঋণপত্র খুলতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কিন্তু তাতে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়নি।

তিনি জানান, ডিজেলের মজুত কিছুটা কমেছে, তবে কয়েকটি জাহাজ চট্টগ্রামের পথে রয়েছে। এগুলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে যে সামান্য পরিমাণ মজুত কমেছে তা পূরণ হয়ে যাবে। অন্যদিকে অকটেন ও পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হয়। স্বল্প দিনের মজুত রয়েছে বলে যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা সঠিক নয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

বিপিসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর