জনশুমারির তথ্য প্রকাশ বুধবার, জানা যাবে দেশের বর্তমান জনসংখ্যা
২৬ জুলাই ২০২২ ২২:৫৯ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২২ ১৩:২৩
ঢাকা: ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ প্রকল্পের আওতায় তথ্য সংগ্রহের পর তথ্য সংকলনের কাজও শেষ। আগামীকাল বুধবার (২৭ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ হবে। জনশুমারির এই তথ্য প্রকাশের মাধ্যমেই জানা যাবে, দেশের বর্তমান জনসংখ্যা ঠিক কত।
বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনশুমারির এই তথ্য প্রকাশ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
এর আগে, গত ১৫ জুন দেশব্যাপী এই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। চলে ২১ জুন পর্যন্ত। তবে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের তিন জেলা সুনামগঞ্জ, সিলেট ও মৌলভীবাজার এবং ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনায় জেলায় এই কার্যক্রম চলে আরও সপ্তাহখানেক।
জনশুমারি আগে আদমশুমারি নামে পরিচিত ছিল। সবশেষ পঞ্চম আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে। প্রতি ১০ বছর অন্তর এ শুমারি হওয়ার কথা থাকলেও মহামারির কারণে গত বছর তা পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। এ বছর সেই কার্যক্রমে ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন সুপারভাইজার, তিন হাজার ৭৭৯ জন আইটি সুপারভাইজার, তিন হাজার ৭৭৯ জন জোনাল অফিসার, ১৬৩ জন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী এবং ১২ জন বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারীর মাধ্যমে শুমারিটি সম্পন্ন করা হয়।
পরিসংখ্যান ব্যুরো বলছে, একজন গণনাকারী প্রতিটি খানার তথ্য নিয়ে তার ট্যাবে থাকা প্রশ্নপত্র পূরণ করেন। প্রতিটি প্রশ্নপত্র পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের ডাটা সেন্টারে জমা হয়। সেখান থেকে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ডাটা সেন্টারে জমা হয় এসব তথ্য। এ কারণেই এবারের এই জনশুমারিকে ডিজিটাল জনশুমারি বলা হচ্ছে।
এবারের শুমারিতে একজন মানুষের কাছ থেকে মোট ৩৫ ধরনের তথ্য নেওয়া হয়। কোনো পরিবারের সদস্য বিদেশে থাকলে তাকেও গণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আবার যেসব বিদেশি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন, তাকেও গণনা করা হয়। খানা ও খানার সদস্যদের গণনা মোট জনসংখ্যা ও দেশের সব বসতঘর বা বাসগৃহের সংখ্যা উঠে আসবে এই জনশুমারিতে। এছাড়া ঘরের ধরন, বাসস্থানের মালিকানা, খাবার পানির প্রধান উৎস, টয়লেটের সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জ্বালানির প্রধান উৎসের পাশাপাশি আর্থসামাজিক তথ্য, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, খানা সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কর্ম, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা, নিজ জেলা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়েও তথ্য উঠে আসবে।
জনশুমারির তথ্য প্রকাশে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নারের সভাপতিত্বে বুধবারের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
সারাবাংলা/টিআর