বাগেরহাটে নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ, গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তরা
২৫ জুলাই ২০২২ ২০:৫৯ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২২ ০০:২২
বাগেরহাট: বাগেরহাটে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী (২০)। রোববার (২৪ জুলাই) মধ্যরাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ওই নারীকে প্রতিবেশীরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি কোনো ধর্ষক। তবে, পুলিশ বলছে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার আশ্রয়ে থেকে ক্ষমতার দাপট দেখানো কয়েকজন বখাটে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে প্রতিবেশীরা গুরুতর অসুস্থ ওই নারীকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান ও বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলেন ও বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেন, ‘গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৫), রাব্বি হাওলাদার (২২), জাহিদুল হাওলাদার (৩৫), সজীব হাওলাদার (২৫) ও রিয়াজ হাওলাদার (২৩) আমাকে ধর্ষণ করে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মেহেদী হাসান বলেন, ‘ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা আমার লোক না। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দীরা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।’
ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমি দ্রুত ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাই।’
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. জিনিয়া ফেরদৌস জানান, গুরুতর অসুস্থ ওই নারীকে গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দলবদ্ধ ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদ হাসান জানান, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদি হয়ে সোমবার দুপুরে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
সারাবাংলা/এমও