চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁস: মাউশির কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর গ্রেফতার
২৫ জুলাই ২০২২ ১৪:২৬ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৬:২১
ঢাকা: মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় ৩১ তম ব্যাচের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার (২৪ জলাই) রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে মিল্টনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে অপর এক সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।
ডিবি প্রধান বলেন, কয়েক মাস ধরে এই মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি। শুরুতেই চন্দ্র শেখর হালদারের জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিল। এরপর প্রমাণ সাপেক্ষে গতকাল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যেহেতু তিনি মাউশির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাই তার মোবাইল সিমকার্ড ভেরিফিকেশন, কল রেকর্ড যাচাই বাছাই এবং তার জড়িত সম্পর্কে অপর আসামিদের বক্তব্য ও প্রমাণাদি নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ জন্য তাকে গ্রেফতার করতে কয়েক মাস সময় লেগেছে।’
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, ‘নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার এই মামলায় গ্রেফতার হতে আর কেউ বাকি নেই। চন্দ্র শেখর হালদারের গ্রেফতারের বিষয়টি আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট সব দফতরে জানিয়েছি।’
ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদত হোসেন সুমা সারাবাংলাকে বলেন, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চন্দ্র শেখর হালদার মাউশির প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।’
প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। গ্রেফতার অন্যান্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং জিজ্ঞাসাবাদেও চন্দ্র শেখর হালদারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছিল।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এতে প্রার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৪ জন। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা তিনটায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষার্থী সুমন জোয়াদ্দার নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বেলা ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।
ওই মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলেন—পটুয়াখালী সরকারি কলেজের প্রভাষক (৩৪তম বিসিএস) রাশেদুল ইসলাম, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবীব, অফিস সহকারী নওশাদুল ইসলাম, খেপুপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও পরীক্ষার্থী সুমন জমাদ্দার। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মাউশি ওই পরীক্ষা বাতিল করেছে।
সারাবাংলা/ইউজে/একে