শস্য রফতানির জন্য ৩ বন্দরে জাহাজের বহর তৈরি করছে ইউক্রেন
২৫ জুলাই ২০২২ ১২:৫৩ | আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২২ ১৫:৪৯
ঢাকা: শস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণ সাগরের ওদেসা, চোরনোমর্স্ক এবং ইউঝনে বন্দরে প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু করেছে ইউক্রেন। এসব খাদ্য পরিবহণের জন্য এসব বহরে জাহাজের বহর তৈরির কাজ চলছে। দেশটির সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) বিবৃতিতে ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শস্য এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য রফতানি পুনরায় শুরু করার জন্য শুক্রবার ইস্তাম্বুলে স্বাক্ষরিত চুক্তির অধীনে তিনটি বন্দর ফের চালু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রফতানি জাহাজের বহরে যুক্ত হতে প্রতিটি জাহাজকে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। একটি বড় জাহাজের নেতৃত্বে তারা সমুদ্র বন্দরে আগমন ও প্রস্থান করবে।
ইউক্রেন ইউরোপের রুটির ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মতে, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গম রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সামরিক আগ্রাসন চালায় প্রতিবেশী রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পর কৃষ্ণ সাগরের কিছু এলাকা অবরোধ করে রাখে রুশ সেনারা। ইউক্রেনও সাগরের কিছু এলাকায় নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টিকারী মাইন পেতে রাখে। এতে ইউক্রেন থেকে শস্য রফতানি বন্ধ হয়ে যায়।
ইউক্রেনের শস্য রফতানি বন্ধ হওয়ায় বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দর লাগামহীনভাবে বাড়ছে। এতে বিশ্বের বহু দেশ মুদ্রাস্ফীতির সমস্যায় ভুগছে। ইউক্রেনের ২০ মিলিয়ন মেট্রিক টন শস্য যাতে ফের বিশ্ববাজারে প্রবেশ করে সেই লক্ষ্যে যুদ্ধরত দুই দেশকে একটি সমঝোতায় আনার চেষ্টা চালায় জাতিসংঘ এবং কৃষ্ণ সাগর উপকূলের প্রভাবশালী দেশ তুরস্ক। দফায় দফায় আলোচনার পর গত শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়া কৃষ্ণ সাগরের বন্দর খুলে দিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এর মাধ্যমে বিশ্বে ফের ইউক্রেনের শস্য রফতানির সুযোগ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন
শর্ত অনুযায়ী, কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে জাহাজ ছেড়ে যাওয়া এবং বন্দরে পৌঁছানোর জন্য যৌথ নিয়ন্ত্রিত এবং স্থানান্তর রুটের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যাপারে রাজি হয় দুই পক্ষ। জাহাজ চলাচলের জন্য ইস্তাম্বুলে একটি সমন্বয় কেন্দ্র তৈরি করা হবে বলেও শর্ত রয়েছে। এ সমন্বয় কেন্দ্রে জাতিসংঘ, তুর্কি, ইউক্রেনীয় এবং রুশ প্রতিনিধিরা থাকবেন।
ইউক্রেনের ২০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য রফতানির জন্য কৃষ্ণ সাগরে উপস্থিত জাহাজের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয় বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য পরিবহনের জাহাজ কৃষ্ণ সাগরে নির্বিঘ্নে পৌঁছাতে পারলে এ সংকট দূর হবে বলে মনে করেন তারা।
সারাবাংলা/আইই